মাগো,আমার ভালো লাগে
নদীর বয়ে যাওয়া;
শান্ত নীরব পুতুল-ঘাটে
ফুরফুরে যে হাওয়া-
বইছে নীরবধি।
তার পাশেতেই কান পেতে মা
শুনি,নদীর কুলুধ্বনি।।
মাগো,আমার ভালো লাগে
পাখির গাওয়া গান;
সেই গানেতে দোলে কেমন
শিশুর কমোল প্রাণ।
দেখো কেমন মধুর সুরে-
সেই গানেরি তান ধরেছে
কোকিল,শ্যামা,দোয়েল।।
মাগো,শুনতে ভালো লাগে আমায়
তোমার গাওয়া গীত;
ভূতল লভে ঝৃতু-রাজন
যে ফরসা রঙের শীতে-
মা,গুনগুনিয়ে গাও গো যখন,
তখন ভালো লাগে।।
মাগো,আরো ভালো লাগে
পত্রপটে নীর;
তোমার হাতে রান্না করা
দুগ্ধ-পায়েস,ক্ষীর।
আচ্ছা মাগো,হয় কি এমনদিন
তোমায় ছেড়ে থাকবো আমি;
দুরে-বহুদুরে!
তুমিই যদি না থাকো মা;
সব শিশুরা,সব পাখিরা
গান যে যাবে ভুলে-
তোমায় ছেড়ে মাগো আমি
থাকবো কেমন করে।
তুমি হীনা হিমেল কবি
কাঁদবো কেমন করে-
মাগো,আমি পথের শিশু
পথ যে যাবো ভুলে।।
মাগো,আমার ভালো লাগে
আকাশ ভরা তাঁরা,
এমন ভিড়ের মাঝে ছুটছে
কেমনে তারা-
দুর হতে দুর দেশে।
আমার ভালো লাগে মাগো;
সুয্যি যখন ডুবে-
অমনি করে লুটোতে মা
আমারো স্বাধ জাগে।
আচ্ছা মাগো,কেন এমন হয়
চাঁদ-শশী,তাঁরারা সব
জেগে নিরব রয়।
জানি,তুমি বলবে না যে আজ
তাইতো মুক করেছো ভার;
বলো মাগো-আমার উপর
কীসের এত রাগ।
কিন্তু,আমি তো তা জানি
ওরা অবুঝ শিশু যে-
ওরা যে আজ মুক ঢেকেছে
মায়ের-অভিমানে।
এবার তো মা হাসো-
নয়তো গো মা তোমার খোকা;
ওদের মতো আর-কনোদিন
কথা ক'বে না'কো।