দোদুল
দোল দোল দোল,আমি যে দোদুল
যেখানে সেখানে -বাজায় মাদোল,
মেতে থাকি সদা -হাসি আর গানে
বেঁচে আছি তাই -শিশুদের প্রাণে।
______________________
বেঁড়ালের বিয়ে
বাটনা বাটায় হলদু বেঁটে
বেঁড়াল বসুক পীড়েতে,
ইঁদুরমামা আমরা যে কেউ
যাবো না তার বিয়েতে।
নিজেই মাখো গায়ে হলুদ
বিয়ে তোমার হবেই না,
বেড়াল ভায়া তুমি দুষ্ট ভারি
গোঁফে হলুদ দেবে না?
গোঁফে হলুদ না দিলে যে
আমরা কেউ যাবো বা,
বেঁড়াল ভায়া বেঁড়াল ভায়া
বিয়ে তোমার হবেই না।।
______________________
সর্দি
সর্দি-জ্বরে ভুগছো দেখি
ওষুধ কেন খাচ্ছো না,
দাদু তুমি কিপটে ভারি
কিপটে হলে চলবে না।
ব্যাঙের মতো হাঁপছো যে
কেমনতর ডাকছে নাক,
বয়স হলো চিনলে না যে
নেওটা ছেলের ধেরে ফাঁদ!
আষাঢ় মাসে ডোবায় প'রে
আনলে ডেকে সর্দি,
শ্যাওলা খেয়ে দাদু তোমার
কমলো এবার বুদ্ধি।
______________________
ব্যাঙের বিয়ে
আজ দেবো যে ব্যাঙের বিয়ে
ভরা আষাঢ় মাসে,
কত্ত হরিৎ ব্যাঙে যে ডাকে
শোনো কান পেতে।
লোকূল ডোবায় নকূল ডাকে
শ্যাওলা ঘাসের গায়,
যেই শুনবে,বলবে যে ভাই-
বাজছে বিয়ের সানাই।
হলুদ পেঁড়ে শাড়ী প'রে-বৌ
ছাদনা তলার ঘাসে,
কঁপলু তলায়-বিলের ধারে;
বর,শুশনি শাকে থাকে।
বরের সে যে বনেদি ঘর
মেয়ের বাপের গাল,
কন্যা বিদায় করলে প'রে
ঘুচে যে তার কাল।
এই দিকেতে তুমুল ব্যাপার
মেয়ের বয়স নিয়ে,
পুরুত ব্যাটার মোটা দক্ষিনা
বিয়ে দিলেই বাঁচে।
______________________
মুখ পোড়া
মুখ পোড়া বুক খুলে দেখ কোথা যাচ্ছে
গরমের দিনটাতে -পায়ে রোদ মাখছে।
পায়ে যেন নেই জুতো মাথা জুড়ে পট্টি
সারা দিন টো টো ঘুরে রাতে- জ্বর সর্দি।
স্কুলে গিয়ে দেখি,হায়-একি তার কান্ড
পাঁচ জন ছেলে নিয়ে গড়েছে সে সঙ্গ,
ছুটি চাই,ছুটি চাই,কুড়ি দিন, -মিছিলে
মুখ পোড়া দাড়িয়ে পাঁচ ফুট -পাঁচিলে।
পন্ডিত এলো বলে, -ছয়টায় পড়াতে
মুখ পোড়া রসে ভরা,গপ্পের হাঁড়িতে।
সাত-পাঁচ পড়া দিয়ে,অমনি ঢুলিয়ে;
চোখে ঘুম এলো বলে রইল সে এলিয়ে।
পরদিন ভোরে ওঠে -ছুটে যায় ভাগাড়ে
মুখ পোড়া ছেলেটি,আমারি যে আহারে।
_________________________________________________
দাদাগো আর যাব না
কপাল খারাপ দিচ্ছো আরোপ
সবই আমার দোষ,
দেখছো না কি সবখানেতে
চাইছে কেমন ঘোষ।
তুমিও দাদা মস্ত গাঁধা বড্ডা গাঁধা আমি
আমরা গাঁধা ওরাও গাঁধা
সবাই গাঁধা -গাঁধাখাটুনি,
এসো না তুমি -আর এসো না
সাজতে গাঁধা রঙ্গে,
এই শহরের হরেক লোকে
চলে হরেক ঢঙে।
দাদা গো আর যাবো না -আর যাব না।।