আমাকে খুব ভালোবাসো না?
কি হলো,জিঙ্গেস করেছি,ভালোবাসো?
কেঁদে দিলে হয়তো,একদম কাঁদবে না!
ভুল হয়েছে আমার,ক্ষমাসুন্দর;
দৃষ্টিতে তাকাও!তাকাবে না?,তাকাও।

এইতো।কাকা,তোমার এই দৃষ্টিটাকে
দেখলে আমি সৃষ্টির নিয়ম ভুলে যায়,
ভুলে যায় আমার জন্ম হয়েছে।হয়তো;
কান পেতে শুনবে?ঝিঁ ঝি'রা ডাকছে।
ঝোঁপে ঝাড়ে কুকুর,খেকঁশেয়াল
রাতের বেলা এদের কিসের এত উন্মাদ?
কিসের হাহাকার কেন এই আর্তনাদ।

প্রশ্নগুলো আমার স্নায়ুকে ঠুকরে খাই
আর এর উত্তরের আর্তনাদে পাঁজর খ'সে
ঠিকমতো সামলাতে পারি না নিজেকে।
'র' এবং রেফ এর মতো বেপরোয়া হয়ে উঠি।

আমার কেন জানি এরকম মনে হয়;
সৃষ্টিকে তার স্রষ্টার পরিচয় দেওয়া হয়নি!
তাই দেবতার মন্দিরে যেতে সে নারাজ।
হাহাকার করছে,গোরোস্থানের মাটি খুবলে
বুকের আগুন নেভাতে চাইছে,ছেঁড়াখোড়া
শার্ট প'রে প্রকৃতির মধ্যে ডুবে যেতে চাইছে।

বাস্তুভিটের খুব কাছাকাছি এসে আর্তনাদ
নির্ঘুম রাতে ক্যাঁচ ক্যাঁচ কাঠ কেটে কেটে
প্রকৃতির এ আরতি তুমি অস্বীকার করলে কেন?

থাক!ছেলেবেলায় আমাকে গলাটিপে হত্যা করতে পারতে?
-এরকম কিছু বলার সাধ্য আমার নেই।
না চাইতে তুমি যা দিয়েছো
তোমার দিব্যি,আর কেউ কখনো এতোটা
আমায় দিতে পারবে না।
তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি,কাকা।
বটবৃক্ষের মতো আকঁরে রেখো।

গভীর রাতে নদীর নির্জন তরঙ্গে
জেগে উঠে যখন দেখি আমাবস্যার রাত
কচুরি পানার মতো চাঁদ গেছে উ'বে
রক্তে বুদ্বুদ খেলছে,কটমটে দাঁতে দাঁত
ছ'জোড়া পাঁজর ভাঙা শেষে,কাঁঠপোকা
অলিন্দ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।হাঁড় কাঁপানো
শীতে চুন চোখ,রক্তফেনা মুখ;আর এক চিলতি বেদনা বুহ্য আমার সহ্য হচ্ছে না
কাঁপানো দু'হাত অসাড় করে ভেজানো কপাটটুকু খুলে দিও,পারবে না কাকা?
তুমি পারবে,তোমাকে পারতেই হবে যে;
গোরোস্থানের মাটি খুবলে সুখ কুড়োঁবো।