অশ্রুত ভোরের জীবনবাদী স্বপ্নঘোর থেকে,
তীর্যক চাঁদের আলোয় হেটে যাওয়া অবিশ্রান্ত পথিক
প্রিয় রবীন্দ্রনাথ,
চিরন্তন বৃক্ষের অগনিত বহুব্রীহি,
কবিতার আনন্দ আর উল্লাসে পেখমের স্নেহ,
আর অমিতের লাবণ্য আশা-
হে রবীন্দ্রনাথ,
তুমি বাংলার নদী সবুজের আশান্বিত উপমা।
জীবন যদিও চলে যায় বিষন্ন রুদ্রঝড়ে
প্রগাঢ় সন্ধ্যায় যদিওবা কেউ জ্বালায় সেঁজুতি এপিটাফ,
তবুও জাগতিক নিয়ম বদলে দিয়ে,
কেউ কেউ বেচে থাকে চিরকাল,
অস্তিত্বের সুনিপুণ কারিগর সেজে।
শতবর্ষ পার হয়ে যায় এভাবেই
তবু তুমি থেক যাও চির ভাস্বর হয়ে,
তোমার কাশফুলের মত শুভ্র শ্মশ্রুশোভিত মুখ
ঠোটে প্রচলিত জ্ঞানবিরোধী হাসি,
যেন কনফুসিয়াস তার ধর্মের প্রচারনায় সরব বাণীমুখর,
বিস্তৃতিকাল ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা মহামানব
বিমূর্তায়ন আবেগ নিয়ে কিছু স্মৃতির ভালবাসা,
রবীন্দ্রনাথ অধরামৃত কাব্যগাথার অসমাপ্ত বর্ষণ।