১।
উদ্বাস্তু চাঁদটা থেকে থেকে উঁকি দিচ্ছে মেঘের আড়ালে
চলমান মূহুর্তগুলো স্মৃতির দোলাচালে আটকে পড়ে হোচট খায় মাঝে মাঝে
কোন স্মৃতিতে আর মগ্ন থাকবে এই বিবাগী মন? আস্থাহীণতার পঙ্কিল গহ্বরে যে স্মৃতি লজ্জা পায় তাকে নিয়ে আক্ষেপবাণীর মুল্য কি? চাঁদ উঁকি দেয় হেমন্তের আধো-মেঘ আকাশের বুকে...
লুকোচুরি খেলো আজো পুরাতন সেই তুমি।
কিন্তু মনে রেখো তোমার এই নিষ্ঠুর প্রহসন গাঢ় রাতকে সংকীর্ণ করেনা আর
এই মন আজ শিখে গেছে ভালবাসতে নিঃসঙ্গ রাত আর চাঁদ মেঘের নিবিড় লুকোচুরি।

২।
নন্দিনী আর শুভঙ্কর দুজন দুই দেশেতে থাকে
নন্দিনীর চোখের তারায় স্বপ্ন ছবি আঁকে।
শুভঙ্করের হাপুস- হাপুস ব্যস্ত কাঁটে দিন
মিলিত দেখা স্বপ্নগুলো বৃথা আর অমলিন।
শুভঙ্করের দোষ কবিতায় করে আঁকিবুকি
পদ্য ভুলে হারিয়ে দূরে নন্দিনী দেয় ফাঁকি।
হঠাৎ করেও পথে হলে মুখোমুখি দুজন
আবার হয়তো জন্ম নেবে নীরব কথোপকথন।

৩।
বুকের মাঝে বহতা নদী বানানো ছোট্ট কুড়েঘর
সময় শেষে চর পড়ে রয় আর আপন হয় যে পর।
মনের মাঝের ছোট্ট সৃত্মি স্বপ্ন একটুখানি
শেষমেষ যে দুঃখই হবে অভাগা ঠিকই জানি।