ঝরাপাতা সম

পৃথিবীর কালো আকাশের কাছে হঠাৎ হাওয়ায় উড়ে যাওয়া নিগৃহীত পলিথিন আমি
ছলনার আবহ নির্মানে ঝরো হাওয়া হয়ে হয়তো জেগে আছো তুমি।
তোমার স্পর্শে বিদ্ধস্ত আমার এই বিন্যস্ত বাগান
কুড়ি ফুটে ফুল হবার অপেক্ষায় ম্লান।
চোখ মেলে চেয়ে দেখতেই ভস্ম এই কুড়ি
দূর আকাশে মৃদু আলোয় মিলে যাওয়া নক্ষত্র মন্জুরি।

ইহা সত্য ইহা সুন্দর

আমি হয়তো সেই অর্থে কখনোই আধুনিক কবি হয়ে উঠতে পারবনা
কারন একটাই,আজিজে আমার কোন কবিতার আড্ডা নেই।
আমার নিঃসঙ্গ সিগারেটগুলো একলা পোড়ে নিরালায়
অন্য কোন নিষ্পেষিত বস্তুর সাহায্য নিয়ে মুখ বন্ধ হয়না নিকোটিনের।
আমার আড্ডায় উঠে আসেনা জয় গোস্বামী অথবা অন্য কবির নিঃসঙ্গতা
একলা শুধু গোপন ভালোবাসার হাহাকার করে কবি তো হওয়া যায়না।

ফু

ঢিলেঢালা রাত খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে
বারবার স্তব্দ্ধ নিঃসঙ্গতার কথা বলে।
তুমি অথবা তোমরা ফুরিয়েছো চাওয়া পাওয়া
একাকী আমার বাচাঁর গান গাওয়া।
অনেক আগেই উড়িয়েছি সব বেহুদা স্মৃতি
নিজেকেই নিজে দেয়া নাগরিক নিষ্কৃতি।।;)

এই আমি

পিছে ফেলে আসা একথালা নিরুপায় চাঁদ গুমরে কাঁদে
আমি তার স্তব্ধতাকে কটাক্ষ করে এগিয়ে চলি।
নিষ্ঠুর শাষকের মতো আড়চোখে চেয়ে দেখি ওর একাকীত্ব
আমার আলসেমি চোখে ঘুমঘুম স্নিগ্ধতা....
চাঁদকে হতাশায় ড়ুবিয়ে ক্লান্তি মেলে দিই রেশমের আশ্রয়ে।

আমার ভালোবাসারা গুমরে মরে চাঁদ-পাওয়া প্রেমিকার বিবর্ণ ঠোঁটে।।