একটা কান্না সহসা শোনা যায়
বিশেষ করে আকাশ যখন উদাস হয়।
শুধু কেউ নেই পাশে আমি একা
এখানে বসে বাহিরে বৃষ্টি ঝড়ে
খোলা জানালা মায়াবী পর্দা উড়ে -
বাহির থেকে আলো ঘড়েতে প্রবাহে
যেমন ঝড়বৃষ্টি এলে সকলে দাঁড়ায়
একটা ছাদের নীচে; তারপর
আবার শুরু চলা বৃষ্টি চুপটি হলে।
এলোমেলো আলোছায়ায় একত্রে
সকলে ছোটে নিজস্ব গন্তব্যে
আলোও মিশে যায় আলোর সাথে
আফসোস! ঘড়ের কোনে অন্ধকার দেখে;
কখনো বৃষ্টির দু’ফোঁটা জল শরীর ছুলে
মনে হয় এক জন্মের স্নান হয়ে গেলো
শুধু এ স্বাদ পেলো না অন্ধকার আজও!
বৃষ্টি এলেই মনে হয় আরো কত কত কথা,
নিজের সমস্ত ||
এখনো নিজের মাঝেই লুকিয়ে আছে
দেয়া হলো কাউকে নিজের নিঃসঙ্গতা!
এদিকে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে বুঝি
বৃষ্টি ধেরে আসছে আরও;
অন্ধকার জন্ম থেকে আবদ্ধ
বৃষ্টি অবকাশে হতে পারতো মুক্ত।
ধার থেকে কমতে কমতে
শেষে মাঝখানে এসে মেশে
বৃষ্টি ভেজা পায়ের ছাপ;
তারই মতন অন্ধকারও
নিজেকে জড়িয়ে কুকরে যাচ্ছে
অবশেষে তাঁর মেরুদণ্ড অসার!
চিৎকার করে জানাতে সে চায়—
অন্তরীক্ষে একজন বেহালাবাদক
করুণ সুরের ঝড় বইয়ে বেড়ায়—
অথচ গাছের একটা পাতাও নড়ছে না
এ-ই ঝড়ের পূর্বাভাসে..