অনেক বছর ধরে যাপিত জীবনে বেঁচে আসা মেঘ, বুরো হতে হতে আজ বুকের ভিতর ভেঙে পড়ে, ঝড়ে পরে খুচরো পয়সার মতো ঝনঝনিয়ে জীবিতের শেষতম সুখে— ডুবে যায় সকল নর্দমা, ভরে আসে হাঁটু অব্দি জল।

ভেবেছিলাম ফুরিয়ে গেছে হয়তো
যেভাবে নদীরাও মরে গেছে বৃষ্টিবিহীন অকারণ সন্ধিতে।
কিন্তু নয়, আফসোস হয়, খালি নিরন্তর দৃশ্য লিখে রাখা—

যে বুকে প্রতিবছর নিয়ম করে বর্ষা আসে ছোঁয়াচে আষাঢ় শ্রাবণগুলো ঢালে টলটলে বৃষ্টিফুল; সে বুকের ভেতর তিরতির করে কাঁপে আষাঢ়সন্ধ্যা মেঘমসলিনে ঢেকে যায় অবয়ব—
বাড়ে চাতকের তৃষ্ণা। ঘাটে ঘাটে বেঁধে রাখা সকল নৌকো, ছেড়ে যায় সব।

এ কেমন ঋতু! নিজস্ব চোখের কাছে লেখার দু হাত পেতে ডাকা মেঘমল্লার। বর্ষার মায়াঞ্জনে গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে টলতে থাকা সময়; কোনো এক বর্ষাকাল কার যেন মাথা বাঁচাতে আবারও ফিরিয়ে এনেছিলাম জীবনে রুমালের ব্যবহার।এমন বৃষ্টির দিনে চলে যাওয়ার কথা কী ভাবা যায়?

আদিম তর্জমায় কয়েকপাতা লালন তারপর থতমত মফস্বলের দিকে চলে যাই...