এই কুয়াশা রাত্রিতে সব নিভে যাক আলো
সব বেদনাগুলাকে আত্মহত্যা করে।
সেই নিষিদ্ধ গানের বেওয়ারিশ লাশ হয়ে
কুয়াশায় মত্ত হারা আজ আমরা
এই নিষিদ্ধ পূর্ণিমায় অবাস্তব আশা খোঁজে
হেরে যাচ্ছে, তবু শেষে হারছে না
ঘুম চাপা রেখে অভিশপ্ত এই নীল ছাতাগুলকে
বাক্সতে বন্দী করে আজো হাসে।
পরিণয়ের এই অপেক্ষাকে আজো বাঁচিয়ে রেখে
নিজেরই মধ্যে রক্তাত মরীচিকা
এই রাতের নির্জন পথের মতে
নৈঃশব্দ্যে নিলীন আমাদের কায়া
মূলত দৃশ্যের ক্যানভাসে মিশে যাওয়া।
মৃদু মন অসুখের আরামে
যে শরীর বয়ে চলা অবচেতন প্রেমে
সে শরীরের অঙ্গ নয় আমার !
আজীবন নাম ভূমিকায় তবুও
আমি চাই আমার হৃদয় তোমার মাঝে
কিভাবে? সে এক অদ্ভুত প্রশ্নে কুয়াশা
ছুঁতে চাওয়া আজ অর্পাথিব বায়না
যেন কত কত রাত থাকে এমন ঘন
অন্ধকার হারায় অন্ধকারে আরাও।
কোন এক কালো-মানুষ স্বপ্নে পালায়
মাটি জুড়ে অবয়ব জীবিত বাস্তবায়
বাড়িয়ে দিয়ে কালো হাত
নীল হাতের মিলনে ফুল জন্মে আশায়
হায়রে -- জন্ম জন্মান্তরের জীবন আশায়
উপবাসী ঠোট ভেসে তাঁর শিশির কাঁদে
স্নিগ্ধ কিরণছটা-
মুক্তোর মতো হেসে ওঠার অপেক্ষা; সে চায় না আর
শাশ্বত ভাবনারা করাঘাত করে
আজ তাঁর মনের দ্বারে; কুয়াশা
কুয়াশায় মত্ত হারা আজ আমরা
না বাড়ুক সেই অপেক্ষার ভোরের বয়স
বেড়ে উঠুক শুধু রাতের পৌরুষ
এই কুয়াশা রাত্রিতে সব নিভে যাক আলো
সব বেদনাগুলাকে আত্মহত্যা করে।
যৌথ পরিচালনায় লেখা একটি কবিতা..
আমি অর্ণব কুমার ধর এবং বন্ধু রাফিদ আস সামি আহমেদ এর এক অদ্ভুত হাস্যকর চিন্তা জুড়েই এই কবিতার গল্প-কথা। যদিও রাফিদের সুরেই উদ্যোগ ||