প্রেমিকার রূপে প্রেমিক হতেছে নাজেহাল।
স্বৰ্গ,মর্ত্য,পাতালের কোথাও
দুটো মানসের ছায়া দাড়িয়ে পরাবাস্তবতায়
অথবা তা ছায়া নয়—রুহু নয়
যেন জীবন্ত শরীর বাস্তবতায়।
সৃষ্টির দেয়ালে আকা গুস্তাভ ক্লিম্টের ছবি
শোনা যায় যবনিকাপাতের শুরুর ধ্বনি
একটা প্রেমের কবিতা লিখছে কবি---
একটা জীবনবোধ অনুভূত ছায়াছবি---
বায়ুশূন্যে সাগর তীরে দু'জন;
সম্মুখে প্রদীপ জ্বলছে প্রেমের অনল।
প্রথমে চোখে, তারপর ঠোঁটে চুম্বন
শীতল হাওয়ার শুরু প্রদীপ দীপ্তি নরভর।
দু'হাতের মাঝে প্রেমিকার মুখমন্ডল
একাগ্রচিত্তে চোখে চোখ পরস্পর;
তখন বালিতে লতার অঙ্কুরোদগম -
ঝাপটে ধরে শরীর, ঝাপটে ধরা শরীর
শুষে নেয়, শেষে হয়ে যায় ভস্ম প্রেমিক!
প্রেমিকার চোখে তখন ধূসর মেঘ
প্রেমিকার চোখ হতে ঝড়ে মায়ার আবেগ
সে আবেগ গলে গলে তরল ত্বরণে জল
সে জল-অশ্রুর ছোঁয়ায় ছোঁয়ায়
নীলচে রঙের রক্ত মাখা জবার জনম;
স্পষ্টত প্রতীয়মান ছায়ভস্মে নব্য জীবন..
সে ফুল প্রেমিকা তুলে নেয়
সে ফুল প্রেমিকা ছুয়ে নেয়
সে ফুল প্রেমিকা মেখে নেয়
আষ্টেপৃষ্টে সারা দেহ মনজুরে
নৈঃশব্দ্যে প্রদীপ হতে নিয়ন উড়ে;
তুমি সকাশে এলে সর্বনাশ ঘটে ||