প্রেমের কাছে

যে পথ ছেড়ে গেছি বৃষ্টির অপেক্ষা করে
সে পথে অশ্বথ বৃক্ষের মতো গাছ হাঁটু গেড়ে বসে প্রেমের কাছে
পাথরের মতো হৃদয় তখন নরম হয়ে ওঠে তুলোর মতন
এই বৃষ্টিস্নাতক রাত ভেসে যায় নিঃসঙ্গতাকে সাথে নিয়ে আবারও সেই পথে
বুকের দুকুল ভেঙ্গে যায়
অতীত ভবিষৎ অথবা বর্তমান যেটুকুই যা আছে
প্রেমহীন ভালবাসা সুখের আশ্বাস
দীর্ঘ সংগমে রাত্রি জাগরণ শেষে
ক্লান্ত আঁখি খুঁজে ফেরে আবারও তারে
তাও ঝড়ার তরে যা কিছু ছিল বাকি
চির নতুন, চির তরুন হয়ে বেঁচে থাকে।
বুকের মধ্যে রাখা এক আদিম পেয়ালা
পেয়ালায় দুঃখের বৃষ্টি পরে সত্য আর সুন্দর
অর্থবদক নান্দনিক বিন্দু বিন্দু করে;
জন্মে কবিতার খাতায় ক্ষত
বুকের মাঝে আজও
চিঠির খামে পাখির ছবি
অযত্নে মধ্যরাতে মরীচিকার হাতেখড়ি

যদি থাকতো একটা আট রঙা রংধনু
শেষ রংটার নাম দিতাম প্রেম
শিশু হলে অবশ্য দোলনা রাখত
আর সহজ হয়ে যেত জীবন সহজে..