ছেলেটা আকাশ দেখতে ভালোবাসতো
আকাশের বুকে কল্পনায় কত ছবি আঁকতো,
কাল্পনিক রঙে তাদের রঙ করতো
একা একা গল্প শোনাতো;
বাবার কাছে বকাও খেতো খুব-
পড়াশোনা বাদ দিয়ে অমন হাঁ করে কি দেখিস চেয়ে চেয়ে?
কিছু বলতে পারতো না সে
কারন কথাই তো ফুটতো না তার মুখে,
ঈশ্বর সে ক্ষমতাই দেয়নি তাকে
দিয়েছিল শুধু অসীম কল্পনার জগৎ
তার নিজের মনের রঙে রাঙানো;
ঐ যে দেখছ পূব আকাশে বড় তারাটা
ওটা সাপের মাথার মনি
আকাশখানা তেপান্তরের মাঠ,
কালপুরুষ?
সে তো ভূগোল বই এর পাতায়-
তার কাছে সে মস্ত এক রাজপুত্র
মনিটা যে নিয়ে আসতেই হবে তাকে
না হলে রাজকন্যা কে বাঁচাবে কি করে দুষ্টু ডাইনীর হাত থেকে?

এমনি করে দিন কাটে তার
রাত ও কাটে -
একদিন বিয়েও দিলো বাড়ির লোকে
রাজকন্যে নয়,এক দুঃখী মেয়ের সাথে-
ছেলেটা তাতেই খুশী;
বউ কে আকাশ দেখায় সে
সমস্ত রাত তাদের ভালোবাসা ফুটে ওঠে
আকাশের বুকে তারা হয়ে...

এমনি করে দিন কাটে তার
রাত ও কাটে -
জীবনবাতি নিভল হঠাৎ বছর ঘুরে
বউটা তার কবরে গিয়ে পড়লো কেঁদে
বললো,শুনছ?
ওকে কবরে দিও না গো তোমরা
তাহলে যে শান্তি পাবেনা মরেও
আহারে!বড় আকাশ দেখতে ভালোবাসতো সে...