অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে ঘরে নিঃসঙ্গ আমি একা-
না ডাইনে-বাঁয়ে,না উপর-নীচে আলোর নেই দেখা;
কোত্থাও নেই এত্তটুকু রেশ-
জীবনটা কি তবে আমার শেষ!
আমি কি বেঁচে আছি;নাকি মৃত আত্মা?
কবরের অন্ধকারে শুয়ে আছি শেষ বিচারের প্রতীক্ষায়!
কবরের আযাব গুড়িয়ে দিচ্ছে পাঁজরের হাড়
আমার নিঃস্পন্দ দেহটা হয়েছে কীটপতঙ্গের আহার।
থাকুক ওরা...আর থাকি আমি;
জীবিতবেলার কথা ভাবি,তাতে যদি যন্ত্রণাটা কমে...
অব্যক্ত যন্ত্রণা প্রত্যহ দিয়েছি যাকে আমি
যার জীবনটা ভাবিনি কখনো এমন কিছু দামী!
দিয়েছি শুধুই চোখের জল,দীঘর্শ্বাস আর মর্মজ্বালা
তবুও আমায় পরাতো সে আপন বরমালা,
দোষী আমি, দুঃখ আমার নেই যে তাই আর
ক্ষমাও আমি পাইনি তার,এটাই দুঃখ ভার!
শান্তি শুধু একটাই মোর; শুনেছেন ঈশ্বর
উপরের ঐ পৃথিবীতে আজ তার যে সুখের ঘর
অনেক বছর কষ্ট পেয়ে সুখ পেয়েছে সে,
আর যে আমার চাইনা কিছুই; কামড়াক বিছে!!