এই দেশে যত জন্মেছে কবি আসে নাই কেহ দেখিতে
কবি মনে এক ঝড়তোলা মাঠ লুকিয়ে আছে বাংলাতে।
এখানেও কত ফসল ফলে পাখি গান করে গাছে গাছে
মৃদু হাওয়া বয়ে যায় কত পাকা ধানের শীষে শীষে।
ইক্ষুগুলো সব দাড়িয়ে থাকে মাথায় নিয়ে ফুল
মনেহয় যেনো খোঁজে ওরা ঐ দুর আকাশের কুল।
আাঁকা-বাঁকা এর পথ বাহিয়া কত পথিক চলিয়া যায়
কতজন গেছে আরো কত যাবে তাহার হিসেব নায়।
গাছের ডালে পাখিরা কত বেঁধেছে খড়ের বাসা
বাচ্চা গুলোকে রাখবে ঢেকে এই নিয়ে বুকে আশা।
সরষে ফুলের রঙ দেখিলে রঙ লেগে যায় মনে
পাথর নীরব বুকটা তখন ভরে যায় গানে গানে।
শীতকালে মানুষ পিঠা খায় আর শিয়াল খায় কুসুর
ওদের মনে ভয় শুধু কখন আসবে তেড়ে কুকুর।
বর্ষাকালে এর এক কোণে জমে সারা মাঠের পানি
সেথায় ফোটা শাপলা গুলো কেড়ে নেয় পরাণ খানি।
চৈত্র মাসের রোদ্রে যখন এর মাটি ফাটিয়া যায়
আকুল হয়ে চেয়ে থাকে আকাশে একটু পানির আশায়।
এক পাশে এর দাড়িয়ে আছে অনেক পুরোনো কবর
কতজন যে যাচ্ছে সেথায় যখন আসছে ওপারের খবর।
সারাদিন ঐ সূর্যটা শুধু চেয়ে থাকে মাঠের দিকে
ভাবে বুঝি  কতো ইতিহাস যেনো লুকিয়ে আছে এর বুকে।
ডান বাম বলে চাষী ভাই জমি চাষ করে সারাদিন
এতো খেটেও মনোবল তার হয়না কভু ক্ষীণ।
কাজের মাঝেও মনের সুখে কতজন গায় গান
মিষ্টি মধুর সেই গানেতে জুড়ায়ে যায় প্রাণ।
গরু মহিষ আর ছাগল চরে আলের ধারে ধারে
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি পাগল করা সুরে।
ক্লান্তি যদি আসে কারো তো ছুটে যায় গাছের ছাঁয়ায়
তপ্ত রোদের মাঝে সে ছায়া তখন স্বর্গ মনে হয়।
মাটিতে এর সবুঝ ফসল আর উপরে নীল আকাশ
বোনা আর কাটার পালা চলে যে অবিরাম বারমাস
সব মিলিয়া যেনো এটা এক প্রকৃতির রঙ্গ হাট
খোঁজ মিললো বাংলা ভূমিতে সুন্দর একটি মাঠ।
মানুষের পাশে সদা হাসে স্বর্গ সম সুন্দর একটি মাঠ।