আমি তখন কিশোরী, সমাজের চোখের শূল তখনো হইনি
কখনো একা কখনো ছোট বোন সহ মোড়ে দোকানে যেতে ভয় করিনি।

হাইস্কুলের বারান্দায় সবে পা রেখেছি মিশতাম না কোনো দলে
মা প্রায়ই গালি দিতো মাথার চুলে তেল দিতাম না যতœ নিতাম না বলে।

হালকা শরীরে রাস্তায় হাঁটতাম কিছুটা নাচের তালে তালে
হস্তিনী মেয়ে উপাধী দিয়েছিলো মা, দাদী, পড়শী সমালোচকরা মিলে।

আমি কিছুই পরোয়া করিনি নিজের খেয়ালকে প্রাধান্য দিয়েছি সব সময়
লেখা-পড়া যা-ই হোক হার মানিনি কখনো কোনো খেলা-ধুলায়।

এই উশৃংখল বয়সেই এক যুবক চিঠি গুঁজে দিতে চেয়েছিলো হাতে
নিয়েছিলাম না, বলেছিলাম সোজা গিয়ে দেখাবো বাবাকে।

পরে আর সে কোনোদিনো আসেনি আমায় ভালোবাসার কথা বলতে
কিন্তু সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম আরো অনেকেই আসবে এমনি ভালোবাসতে।

হলুদ জামা পরিহিত এক তরুন প্রায়ই যেতো আমার সামনে দিয়ে
একদিন অতি কাছে এলো পানি খাবার ছলে তার বন্ধুকে সাথে নিয়ে।

সেদিন তাকে ভালো লেগেছিলো, খুব ভালো, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি
রাতে পড়ার সময় হঠাৎ মনে হলো আমি যেনো তাকে ভালোবাসি।

তারপর প্রতি বিকেলেই তার অপেক্ষায় থাকতাম রাস্তার কাছে
সেও রুটিন মতো আসতো দেখা হলেই ভরে যেতো মন খুঁশিতে।

জানিনা কীভাবে কেমন করে গভীর ভালোবেসেছিলাম তাকে নিজের অজান্তে
চঞ্চল মন ব্যকুল হয়ে উঠলো তার মুখে ভালোবাসার কথা শুনতে।

স্কুলের কমন রুমের জানালা দিয়ে তাকেই দেখা যেতো দাঁড়িয়ে থাকতে
মন-প্রাণ সুঁপে দেবার পর সন্দেহ হতো সে কি চায় আমাকে না অন্য কাউকে?

এমনি দ্বন্দ সন্দেহের মাঝেই বেড়ে চললো আমার ভালোবাসার গভীরতা
তাকে নিয়ে আজগুবি সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম একা একা।

প্রহর গুনেছি কখন এসে সেই তরুন কাংখিত শব্দটি বলবে
আমাকে নিয়ে নির্জন কোথাও চিরদিনের মতো হারিয়ে যাবে।

একদা এক আপার কাছে নাটকীয় ভাবে পেলাম তার পরিচয়
মহা খুঁশি হলাম যখন জানলাম সেও আামার ভালোবাসা চায়।

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খোদাকে বললাম তোমার কাছে কিছুই চাইনা আর
এই পৃথিবীর সকল সুখ, সকল সত্য, সকল স্বার্থকতা “সে আমার”।