এতো দেখেও পৃথিবীটাকে অচেনা লাগে যেন
যায়না বোঝা মানুষ এতো স্বার্থপর, নির্লজ্জ্য হয় কেন?
কেনই বা ওরা অন্যকে কাঁদায়ে খিলখিল করে হাসে?
মনেহয় ওরা স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে এই জগতে ছুটে আসে।
দেয়নি ওরা বিশ্বনবীকে শান্তিতে করতে ধর্ম প্রচার
মানুষের প্রতি অমানুষ হয়ে ওরা করেছে অত্যাচার।
হোসেন পারেনি তৃষ্ণা মিটাতে শুধু ওদেরই কারণে
চোখের আড়ালে জানিনা কত জীবন ঢলে পড়ে মরণে।
লাইলী-মজনুর চির বিরহ তৈরী করেছে ওরা
এখনো কত প্রেমিক-প্রেমিকা ওদের হাতে পড়ে ধরা।
সমাজের যত শান্তি-শৃংখলা ভাঙ্গা ওদের কাজ
মাটি ফাটা অপমানেও ওদের হয়না হায়া লাজ।
হাজার সাঁজে সেঁজে ওরা সবাইকে দেয় ফাঁকি
সত্য-ন্যায়ের মুখোশ পরে নিজেকে রেখেছে ঢাকি।
মানুষের প্রতি মানবতা নয় হিংসাই ওদের ধর্ম
নীরবে কাঁদে আসমান জমিন দেখে ওদের কু-কর্ম।
সুখ পাখিদের নীড় দেখিলেই ঢিল ছুড়িয়া মারে
সুন্দর সুখের জীবন গুলো দুঃখে দেয় ভরে।
আর কতকাল ভাঙ্গবে ওরা সাঁজানো সুখের ঘর
স্বস্তিতে বাস করবে কবে প্রতিটি বধু-বর।
যেদিন ওরা থাকবেনা আর এই পৃথিবীর পরে
সুবাস ছড়ানো ফুল ফুটবে প্রতিটি দ্বারে দ্বারে।
মনের সুখে গাইবে কোকিল নিজের সুরে গান
তাই শুনিয়া তরুন তরুনীর মন করবে আনচান।
কিন্তু সেই সোনালী দিন দেখতে পাবে কি কেউ
শেষ কি হবে দুঃখীর জীবনের দুঃখের শত ঢেউ।
হিংসা বিবাদ মুক্ত একটা সুন্দর বিশ্ব সবাই চাই
যেখানে স্বার্থপর, নির্লজ্জ্য, বেঈমানরা নায়।
০৫/১১/১৯৯৩