কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার অঙ্গে নেই বসন, নিজস্ব নেই আসন
যে ছায়াহীন এক বৃক্ষ তলে তপ্ত রোদে ঘুমিয়ে থাকে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার মাথায় নেই চুল, জন্মটাই ভুল
যে কাঁদে আর ভাবে কোথায় গিয়ে নিজেকে সে রাখবে ঢেকে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার নাকের ডগা ছাঁটা, পা দু’খানা ফাটা
যে পাহাড় সম দুঃখ ব্যথা রেখেছে চেপে আপন বুকে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার নয়নে নেই আলো, জগতটা যার কালো
যে পাইনা তৃপ্তি স্বাধীন দেশের শাপলা ফোটা দেখে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার হাত পা গুলো বাঁধা, চারিদিকে শুধু বাধা
যে অন্যায় আর অবিচার সয়ে ঘরের মাঝে গুঁমরে কাঁদে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার মুখ আছে জবান নেই, দেহ আছে শক্তি নেই
যে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েও পশুর মতো বেঁচে আছে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার চারিদিকে শুধু আাঁধার, যায়গা নেই কোথাও যাবার
যে জোর করে হাসতে গেলেও আঁখি বেয়ে অশ্রু ঝরে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার হৃদয় খানা ভেঙ্গে গেছে, মরার মতো বেঁচে আছে
যে দুর আকাশে চেয়ে চেয়ে আপন মনে কথা বলে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার চলার পথ বন্ধ, চোখ থেকেও যেনো অন্ধ
যে সামনে কিসের ধাক্কা খেয়ে পিছন দিকে যাচ্ছে হোঁটে।
কেউ কি দেখেছো তাকে?
যার হয়ে গেছে সব শেষ, শুন্যতা যার বেশ
যে পৃথিবীতে কুল না পেয়ে প্রহর গুনে ওপারে যেতে।
১৫/১২/১৯৯৩