মধ্য দুপুরে প্রচন্ড খরা উপেক্ষা করে
পিছনের সব ভুলতে ছুটে চলেছি অচেনা দুরে
চোখের জল অঝরে তপ্ত মরুতে পড়ছে
কোনো কিছুতে আজ নেই আর খেয়াল
তাল হারিয়ে আমি হয়েছি বেতাল
আনমনে নিজেই নিজেরে জিগাই
কোথায় যাবি রে তুই, করছিস না তো ভুল ?
কেনো হারালি মনোবল, ওরে কামরুল!

দরদের কথা শুনে ডুকরে কেঁদে উঠে মন
ভেসে উঠে প্রাণে অতীতের ক্ষয়ে যাওয়া যতোক্ষণ
উন্মাদের মতো আছড়ে পড়ি উত্তপ্ত বালুকায়
ঝলসে যায় সারা গা হাজারো ফোঁসকায়
বালুর ত্যেজে জীবন নাশি যন্ত্রনার মাঝেও ফুটলো যেন ফুল
এইবার একটু হাসলো আমার ভিতরের কামরুল।

নাহ্ এ হাসি তো আমার মানায় না
এ হাসি তাদের জন্য যারা নীতির ধার ধারে না
যারা চক্রান্তে ফেলে নিঃস্ব করেছে আমায়
সুখের পৃথিবীটা ভরে দিয়েছে বেদনায়
যারা সুযোগ পেলেই মেরে দেয় শূল
যে শূলের শিকার আমার মতো হাজারো কামরুল।

কখনো কখনো মনে হয় ফিরে যাই ঘরে
নতুন আশা নিয়ে বাঁচার মতো বাঁচি লড়াই করে
কিন্তু মৃদু আশাটুকু হারিয়ে যায় শত সমস্যার ভিড়ে
জ্বালা দিয়ে উঠে সারা গায়ে যতো বিষাক্ত হুল
মণি হারা সাপের মতো র্গজে উঠি আবার
নিহত হয় প্রাণের ভিতর গান করা বুলবুল
অস্পষ্ট দেখতে পাই হাত উচিয়ে ডাকছে এক বাউল
যাসনা ফিরে স্বাধীন নীড়ে চলে আয় কামরুল।