জীবনে এটাই প্রথম আমার লেখা কবিতা
যাকে নিয়ে লিখবো সে অবিকল বনলতা।
কিছুদিন আগে সে আমাকে দেখলেই হাসতো
মনে হয় গোপনে গোপনে ভালও বাসতো।
কিন্তু ইদানিং তার মনটা থাকে খুবই বেজার
তবুও আড়াল থেকে আমার দিকে তাকায় বারবার।
কথায় কথায় সে ধরে বসে জেয
মেয়েদের উচিৎ নয় করা এতো তেজ।
সামনা সামনি হলে সে বই দিয়ে মুখ ঢাকে
অথচ দুর থেকে করুন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
একদিন সে আমার দিকে তাকালো
ঠোঁট দু’টি তার একটু খানি বাঁকালো।
সেই দিন থেকে আমি তাকে ভালবাসি
কিন্তু তার অভিমান প্রেমের গলায় দিল ফাঁসি।
ক্লাসে আসার সময় সে থাকে সবার আগে
মনে হয় হৃদয়টা তার ভরে আছে রাগে।
আবার যাবার সময় সে থাকে সবার পিছে
হয়তো ভাবে প্রেমিক তার তাকিয়েই আছে।
তার মাথার চুলগুলো খুবই ছোট
লম্বায়ও সে খুবই খাটো।
কথায় কথায় মুরব্বিরা কয়
খাটো মানুষ পয়গম্বরের দুষমন হয়।
লম্বায় সে খাটো হলেও সুন্দর তার হাসা
তাইতো সে জয় করেছে আমার ভালবাসা।
হাসি তার ভাল হলেও কথাগুলো মন্দ
দুর থেকেই পাই আমি কিছু কথার গন্ধ।
মেয়েদের বেশি বাড়াবাড়ি করতে নেই
যাকে গালি দিচ্ছ হয়তো স্বামী হবে সেই।
বিধির লিখন খন্ডাবার শক্তি কারো নাই
সেজন্যেই কথা একটু সাবধানে বলতে হয়।
সে-ই অভিমানী মেয়েটিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাই
অনেক কিছুই লিখতাম কিন্তু হাতে সময় নাই।
০৬/০৭/১৯৯১