কে আমার স্বামী ?
যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে নাকি যাকে ভালবাসি !
এক জনকে স্বামী বলেছি স্বয়ং আমি
আরেক জনকে চাপিয়ে দিয়েছে এই সমাজ।
উপায় ছিলনা আমার তাই রাজি হয়েছিলাম !
আর কতকাল বিবেক আমাকে জ্বালাবে ?্
এক জনের সাথে ঘর সংসার করছি !
আবার আরেক জন আছে মনের গভীরে।
আমার জীবনে কেন যে এমন হলো !
আর কে-ই বা এর জন্য দায়ী ?
বাবা-মা ? সমাজ ? নাকি ঐ উপরওয়ালা ?
অনেক দিন আগের কথা
কতই বা বয়স !
সবে মাত্র ভালোলাগার অনুভুতির জন্ম হয়েছে
এবং এক জনকে ভালো লেগেও গিয়েছিলো।
নিজেকে খুব অপরাধী মনে হতো
বাবা-মা যদি জেনে ফেলে কি ভাববে ?
তারা কি বুঝবে আমারও একটা মন আছে !
অবশেষে চরম সত্যটাই উঁকি মারলো।
এবং তাকেই দিতে হলো মন ।
একদিন শুনলাম সেও আমাকে ভালোবাসে
হৃদয় দিয়ে প্রসংসা করেছিলাম বিধাতাকে।
শুরু হলো ভালোবাসার নতুন কাহিনী।
কেউ কাউকে না দেখলে থাকতে পারতাম না।
লজ্জা ভয় কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলো!
কথা বলতাম, দেখা করতাম, মেলামেশা করতাম।
কিযে এক গভীর টান ছিলো তার প্রতি!
যার বিন্দু মাত্র আজো কমেনি।
একদিন আমাকে সে বধু বলে ডেকেছিলো
বিনিময়ে তাকেও অনেক বার স্বামী বলেছি !
কথা ছিলো কেউ কাউকে কোনদিন ছাড়বো না।
এই নিষ্ঠুর পৃথিবী সে কথা রাখতে দিলো না।
চলে গেলাম দু’জন দুই মেরুতে।
কিন্তু পেরেছি কি আলাদা হতে?
সে ছাড়া কেউ কি পারবে এমনে শান্তি দিতে ?
সুখের ঘরতো অনেকেই ভাঙ্গতে পারে
কিন্তু দুঃখের মাঝে কয়জন পাশে এসে দাড়ায়!
জানিনা এভাবে আর কতদিন যাবে!
তার কাছেও যেতে পারিনা
আবার তাকে ভুলতেও পারিনা।
একজন এতো কাছে তবু দুরে মনে হয়
আর সে কত দুরে তবু কাছেই আছে!
চোখ মেলে দেখি একজনকে
আর সত্ত্বার সাথে মিশে আছে আরেক জন।
যখন আর ভাবতে পারিনা, ঘুমের বড়ি খাই!
ঘুম ভাঙ্গলেই আবার সেই একই চিন্তা!
চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম না আজো!
আমি কে ? আর আমি কার!
কে আমার স্বামী!!
১৭/০৭/১৯৯৩