ভর দুপুরে হঠাৎ পিয়ন আসলো আমার বাড়ি,
কোথা থেকে এক চিঠি এসেছে নিতে হবে তাড়াতাড়ি।
জলদি ছুটে গিয়ে সেই চিঠি নিলাম হাতে,
তখন থেকেই ভাবছিলাম কি লেখা আছে তাতে!
চোখ পড়তেই খামের উপর অবাক হলাম আমি
কে লিখেছে এই চিঠি যে খামটা এতো দামী!
লেখাগুলো এতোই ভালো দেখলাম অনেকক্ষণ!
ভাবলাম, মানুষের লেখা হতে পারে এমন!
আমার ঠিকানা লিখেছে শুধু তার ঠিকানা নাই
প্রিয়জনদের মুখগুলো চোখে উঠছে ভেসে তাই।
ভেতরে যে এক চিঠি আছে সেই কথা ছিলাম ভুলে
আকুল হয়ে খামটাই দেখছিলাম চোখের সামনে তুলে।
এটা কি কোন বন্ধুর লেখা নাকি বান্ধবীর
নাকি আমার ভাইয়ের লেখা কিংবা রসিক ভাবীর।
বন্ধু-বান্ধবী লেখে যদি তো আছে রঙ্গের কথা
কয়দিন আগে সবাই মিলে গিয়েছিলাম যেথা।
ভাবী আমার এতোই রসিক মন রসে ভরপুর
তার কথাগুলো মনে হয় যেন মধুর চেয়েও মধুর।
ভাইটাও যা লিখে তা সবই খোলাখুলি
ছন্দে ছন্দে লেখাগুলো তার যেন গানের কলি।
এমনি শত ভাবনার সাগরে ভাসছে আমার মন
কোন ভাবনা সত্য হলো দেখবো যে এখন।
এই ভেবে আস্তে আস্তে খামের ছিড়লাম এক দিকে
সুন্দর একটা সাদা কাগজ বের করলাম ভিতর থেকে।
বেশ কয়েকটা ভাঁজে সেটা মুড়িয়ে রাখা ছিলো
ধিরে ধিরে ভাঁজগুলো সব খুলে ফেলা হলো।
খুলেই দেখি একটা কথাও নেইকো তাতে লেখা
প্রশ্ন বোধক চিহ্ণ একটা রয়েছে শুধু আঁকা!!

২৯/১০/১৯৯৩