বৈশাখী বরষায় বসে আছি বিছানায়
হঠাৎ মনে পড়ে গেলো তোমাকে
মনে পড়ে গেলো তোমার স্মৃতি গুলো
যা এখনো আছে হৃদয়ে সাজানো গোছানো ।
জানিনা তুমি কোথায় আছো কার ঘরে
জানিনা কি করছো এই বাদল ঝরা ক্ষণে
হয়তো স্বামীর বাহুডোরে স্বর্গ সুখে লিপ্ত
হয়তো কথা কাটাকাটি, রাগারাগি
নয়তো বসে আছো বাতায়নে
দূরে, বহুদূরে দৃষ্টি মেলে একাকী।
কী ছেলে মানুষী-ই না করতাম দু’জন
তখনকার বৈশাখে বৃষ্টির আশায়
প্রচণ্ড খরা উপেক্ষা করে তপ্ত রোদে
শুয়ে থেকেছি খোদার মেহেরবানীর আশায়
বিফলে যায়নি সে কষ্ট
লালচে কালো মেঘ জমেছে উত্তর পশ্চিম কোনায়।
তার পরের ঘটনা আরও মধুময়
তীব্র বাতাসে আম কুড়িয়েছি
কখনো জাগেনি মনে মৃত্যু ভয়।
কাল বৈশাখীর ছোবলে জ্বর এসেছে কতদিন
সেরেও গেছে তোমার ছোঁয়ায় তোমার সেবায়।
সে-ই কাল বৈশাখ পরাজিত হলেও
জিবনের বৈশাখ হার মানেনি
উড়িয়ে নিয়ে গেছে তোমাকে অনেক অনেক দূরে
হারিয়ে গেছো তুমি আমার জীবন থেকে।
এখনকার বৈশাখে ঝড় আসেনা
নামে আষাঢ়ের মতো বরষা
যেমন বরষা নামে আমার নয়নে
এ যেন আমার মতই প্রকৃতির মহা পরিবর্তন
যেন বৈশাখী বরষা হয়ে ঝরে আমারই কাঁদন।