বর্ষার বাদলে, বাতায়ন খুলে
চেয়ে আছি দূর গগনে
মেঘের জাহাজে চড়ে, অনেক দেশ ঘুরে
বৃষ্টি এসেছে মোর অঙ্গনে
ঐ যে দূরে, চোখে পড়ে
বহু পুরানো বুড়ো বটগাছ
এবার বর্ষাতে, কিস্তিতে কিস্তিতে
অনেক বৃষ্টির দেয় আভাস
দোয়েল, শালিক, বাবুই, ফিঙে এবং চড়ই
বৃষ্টিতে করছে স্নান
ছোট্ট ভাগাড়ের জলে, মুখ গুলো উপরে তুলে
ব্যাঙেরা ধরেছে গান
লালচে রঙের গরুটা, কদম গাছে রয়েছে বাঁধা
ঠাণ্ডা লেগে কাঁপছে তার দেহ
গরু টার মালিক যে, অসুস্থ রয়েছে
তাই তাকে আনতে যায়নি কেহ
বৃষ্টির শব্দ ছাড়া, কারো নেই ঘোরা ফেরা
চারিদিকে শুধুই নীরবতা
এমন সময় যদি, হতাম আমি কবি
লিখে ভরতাম সব খাতা
কবি আমি নাইবা হলাম, এই তো অনেক পেলাম
এমন দৃশ্য দেখছি আঁখি মেলে
দুশ্চিন্তা হয়েছে দূর, হৃদয়ে জেগেছে সুর
মিষ্টি বর্ষার বাদলে।
৩০/০৬/১৯৯৮