অনলে পুড়ে অঙ্গার হলো শীর্ণ এই দেহটা মোর
আর কতোকাল আমায় নিয়ে চলবে এমন খেলা তোর।
ইচ্ছা ছিলো জীবনটাকে করবো চালন নিজের মতো
ঈর্ষা করে অসির ঘাঁয়ে করে দিলি বিরাট ক্ষত।
উপুড় হয়ে কেঁদে কেঁদে মরলাম শুধু মাথা ঠুকে
ঊষার আলো ভেবে আমি আঁধার মাঝে গেছি ঢেকে।
ঋণের যেনো বিরাট বোঝা চেপে আছে আমার বুকে।।
এক পলকে হাজার স্বপন দুমড়ে মুঁচড়ে নিঃশেষ হলো
ঐরাবতের লাথি খেয়ে প্রাণে বড় তৃষনা পেলো।
ওষধির মতো জীবন নয় আমার তবুও মরলাম অকালে
ঔদ্ধত্য বাণী শুনতে শুনতে ভাঁসছি আখিঁ জলে।
কপালটা হায় ভেঙ্গে গেছে নিষ্ঠুর ক্ষিতির আঘাত পেয়ে
খড়গ ধারাল যন্ত্রনাতে ডুকরে কাঁদি কুঁকড়ে হয়ে।
গঞ্জনাতে কর্ণ যে মোর বধির আকার ধারণ করে
ঘর হারা ঐ পথিক যেনো ডাকে তাই সুরে সুরে।
ব্যাঙের মতো বলি তারে এ আবার তেমন কিরে!
চক্ষু মেলে দেখি যাহা সবই যে অচেনা লাগে
ছবির মতো ধরনীকে এমন তো লাগেনি আগে।
জন্মটাই এক বিশ্রি ব্যাপার এতোদিনে জেনেছি তা
ঝরা ফুলের আর্তনাদে লুকিয়ে আছে এই ব্যথা।
মিঞ মিঞ শব্দ করে বলে বিড়াল সেই কথা।।
টক টক লাগে সবই চাখি যাহা মুখে তুলে
ঠকতে ঠকতে জেতার কথা অনিচ্ছাতেই গেছি ভুলে।
ডুবন্ত ডুবুরী হয়ে নিজেকেই করি আবিস্কার
ঢলের চোটে পড়বে ধ্বসে আকাশ ছোঁয়া বিশাল পাহাড়।
ণ-ত্ব, ষ-ত্ব বিধান মতো চলবে নাকো কিছুই আর।।
তপনটা ঐ ক্ষেপেছে তাই পুড়িয়ে মারবে সকলকে
থ-হয়ে যাবে বিশ্ববাসি তার এমন রূপ দেখে।
দরদ যারা করে তাদের সন্দেহের চোখে দেখতে হয়
ধ্ববল মাঝেই কৃষ্ণ অনেক গোপনে যে লুকিয়ে রয়।
নকল যারা তারাই তো আজ বিশ্বটাকে করছে জয়।
পাপ-পূন্য আজ একই সাথে একই অঙ্গে বসত করে
ফলে এই জগত থেকে সুখ শান্তি সব যাচ্ছে উড়ে।
বন্ধন যতো আছে সব শিথিল হচ্ছে দিনে দিনে
ভন্ড যারা ভুঁয়া সাঁজে আদম গুলো নিচ্ছে কিনে।
মরণ ভয় নেইকো বুঝি এক বিন্দুও কারো মনে।।
যশের খেলা দিনের বেলা রাত্রিতে সব শঠের রাজা
রুগ্ন শুকনো প্রাণী গুলো এভাবেই বুঝি হচ্ছে তাজা।
লজ্জা যখন থাকে মনে পৃথিবীটা সুন্দর হয়
বন্য হলে প্রেমের বাণী কিছুতেই না কনে লয়।
শুন্যতারই হেতু বসত বিশ্বাস নেই কারো প্রতি
ষোল আনা পেতে গিয়ে হারিয়েছি আপন গতি।
সরিষার ফুল দেখি এখন যে দিকে দু’নয়ন চায়
হরদম শুধু খুঁজে ফিরি অতীত মোর গেলো কোথায়।
বড় বড় ভুজঙ্গ যেনো আমার পিছু আসছে তেড়ে
আষাঢ়ের বাদলে ভিজেও খরতাপে মরছি পুড়ে।
আয় বুঝিয়াও ব্যয় করিয়াও হিসাব খাতায় সবই ভুল
হঠাৎ দেখি ভাঁসছি জলে কোনো দিকে নেইকো কুল।
অংক কষে জীবন চষেও দুঃখের দোলনায় দুলি দোদুল।।
আঃ বড় যন্ত্রণা, বড় বেদনা, বড় অস্থিরতায় মরিমরি
আঁতে ঘা পেয়েও আমি প্রতি মুহুর্তে তোরেই স্মরি।