আষাঢ়ের এই বৃষ্টি ঝরা বিকেলে
ঘরের ভেতরে বন্দী হয়ে আছে সকলে।
সূর্যটা আজ নেইকো ঐ গগনে
বোঝা পড়া বুঝি করছে মেঘের সনে।
বৃক্ষগুলো মরার মতো দাড়িয়ে আছে মাঠে
মা পাখিটি ভাবছে কি দেবে ছায়ের ঠোটে।
শিয়াল গুলো চোরের মতো ছুটছে মাঠের দিকে
মুরগী ধরার আশায় ঘরের পিছেও আছে লুকে।
ব্যাঙের ডাকে মনে হচ্ছে বাজছে ঢাক ঢোল
ছোট্ট ছেলে পাড়ছে ঘুম ভিজায়ে মায়ের কোল।
নঁকসী কাঁথা করছে সেলাই কেউবা বসে বসে
নাতিদের দাদী গল্প শুনাচ্ছে মিষ্টি হেসে হেসে।
ভেজার ভয়ে বাবুই এসে বসেছে চালের কোনে
তাকেই ধরার চিন্তা উঠেছে দুষ্টু ছেলের মনে।
রিম ঝিম শব্দে ঝরছে বৃষ্টি সারাক্ষণ অবিরাম
রাখাল ছেলে ভিজছে মাঠে নেইকো তার আরাম।
কেউবা আবার বিছানায় শুয়ে একা একা শুধু ভাবে
হারানো সেই দিন গুলো আর কি ফিরে পাবে !
অপেক্ষা শেষে একটা মুরগী ধরেছে চালাক শিয়াল
সেইনা দুঃখে মুরগীওয়ালা ঠুকছে মাটিতে কপাল!
কর্মী যারা তাদেরও এখন নেইকো কোনো কাজ
উপরওয়ালা স্বয়ং তাদেরকে ছুটি দিয়েছে আজ।
ঘরে বসে বলছে সবাই নিজের অতীত কথা
তাই শুনতে প্রকৃতিতে আজ এতো নিরবতা।
কেউবা আবার জানালায় বসে দেখছে বৃষ্টি পড়া
ছেলেমেয়েদের কেউবা আবার শেখাচ্ছে নানান ছড়া।
প্রিয়জনের হারানোর ব্যাথায় নিরবে কেউ কাঁদছে
মনের আশা পূর্ণ হওয়ায় কেউবা আবার হাসছে।
উপরওয়ালা ঐ উপরে বসে খেলছে রঙের খেল
তারই একটু নমুনা হলো এই আষাঢ়ের বিকেল।