অন্তঃকর্ণে শুনতে পাই মোর হৃদয়ের হাহাকার !
অল্প সুখ আর অধিক দুঃখে হয়ে গেছি একাকার;
হায় ! জানিনা সময় আসবে কবে হিসেব মেলাবার।
কোন দোষেতে দুষ্ট আমি বুঝতে পারি না,
যেটুকু বুঝি দোষ বলে তা স্বীকার করিনা;
জানি সেটুকুও যদি র্বজন করি জীবন চলবে না।
একাকী যখন নিরালায় থাকি নয়ন ভাঁসে জলে,
পাহাড় সম কষ্ট বুকে জমে আছে বুকের তলে
অভিনয় করে ব্যর্থ হই সত্যকে ভোলার ছলে।
কতোজন এসে বলে হেসে “কেমন আছো তুমি ?”
মুখে বলি ভালো, কেউ দেখেনা ভিতরে ঝরে পানি
সেই পানিতে ধিরে ধিরে ডুবে হারিয়ে যাচ্ছি আমি।
উপরে আকাশ, নিচে মাটি, চারিদিকে কতো কী
লক্ষ কোটি মানুষের মাঝে আমি অসহায় একাকী;
পাগলের মতো খুঁজে চলেছি অতীতরে সব স্মৃতি।
কৈশোরে এক কিশোরীর সাথে হয়েছিলো পরিচয়,
প্রেমের ডাকে সাড়া দিয়ে জয় করেছিলো হৃদয়;
অর্ধ হাজার চিঠি লিখেছিলাম ভাবতে হাসি পায়।
জীবনে তখন ছিলো ত্যেজ ছিলো বিশ্ব জয়ের শক্তি,
সব কিছুকে তুচ্ছ করে শুধু যৌবনকে করেছি ভক্তি;
অন্যায়ের সাথে সংগ্রাম করে সত্যকে দিয়েছি মুক্তি।
কতো তরুনী ডাকতো কাছে প্রেমের মিষ্টি ইশারায়,
সকলকে তুচ্ছ করেছি আমার প্রাণের প্রিয়ার আশায়;
সেই প্রাণের প্রিয়াই চলে গেছে শেষে দুর সীমানায়।
প্রিয়াকে হারিয়ে বুঝলাম ভাঙ্গলো প্রেমের পাখা,
সবার মাঝে নিজেকে শুধু মনে হলো বড় একা;
সেই যে হারিয়ে গেছে আর পাইনি তার দেখা।
তারপর বেজে উঠলো হৃদয়ে বিরহী সুরের গান,
অল্প দিনেই হারালো জীবন সকল উদ্দাম;
অবশেষে ছাড়তে বাধ্য হলাম সাধের জন্ম স্থান।
অতীত স্মৃতি ভুলতে কখনো আনন্দে যাই মিশে
মুগ্ধ হয়ে কেউ কেউ আমার প্রেমেতে যায় ফেঁসে;
কভু করি মশকরা কভু উড়িয়ে দিই হেসে।
ভুল বুঝে কেউ বেঈমান বলে, জেনে কেউ করে দুঃখ,
কে কি বলে ভাবনিা কিছু আমার কাছে সব তুচ্ছ;
অনেক বাঁকা পথ পেরিয়ে মন হয়ে গেছে যেনো রুক্ষ।
কোথা থেকে জীবন কোথা এসেছে, কোথায় যাবে আবার
যেখানে খুঁশি যাক সেখানে, হিসেব নেবো না তার;
সবার কাছে থাকুক বেঁচে শুধুই আরিফ কাওসার।