রাত নিঝুম হলে দরজা খুলে গিয়ে দাঁড়াই উদার আকাশের নিচে
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি তারকা গুলো কিভাবে রয়েছে মিলেমিশে।

কখনো বা ফিরে যাই সেই পুরোনো রোমাঞ্চকর দিনগুলোর কাছে
এতোদিন হয়ে গেলো তবু প্রতিক্ষণ প্রতি মুহুর্ত হুবহু স্বরণ আছে।

তারুণ্যের উন্মোদনায় যখন বড় ভুল করার সময় আসে জীবনে
তখনই দেখা পেয়েছিলাম এক কিশোরীর যাদু ছিলো যার নয়নে।

তারে এতো ভালো লেগেছিলো যা প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই
পণ করেছিলাম যে করেই হোক, যেভাবেই হোক চাই শুধু তাকেই।

মাস ছ’য়েক দুর থেকে দেখে দেখে শান্তনা দিয়েছি নিজেকে
অনেক বার সামনে গিয়েও চরম সত্য কথাটি বলতে পারিনি মুখে।

সকল পরিকল্পনা ভুলে যেতাম জড়তা এসে ভর করতো তাকে দেখলে
বিছানায় শুয়ে ব্যর্থ সিদ্ধান্ত নিতাম বলবো সবই এইবার দেখা হলে।

সুন্দর ধরনীতে তাকে নিয়ে গড়বো সুন্দর জীবন এটাই ছিলো লক্ষ্য
সংশয়ে ভুগেছি কখনো, আমি বুঝি তার মহোময়ী রূপের অযোগ্য।

তবুও ছাড়িনি হাল আশার বাঁধ বেঁধেছি প্রেম পাগল এই বুকে
সংকল্প করেছি করবো অপেক্ষা তারই জন্যে যুগ যুগ পৃথিবীতে।

মাটির এ দেহটাতে হৃদয় বলে যে কিছু আছে বুঝেছিলাম তাকে দেখে
অনেক পাতা ফুরিয়েছি কতোদিন কতোবার তার নাম লিখে লিখে।

সারাটি বিকেল ব্যয় করেছি তার আশে পাশে ঘুরে ঘুরে
সত্য কথাটি চাপা রেখে কখনো গিয়েছি কাছে পানির ছল করে।

বেশ কিছুদিন পর বুঝেছিলাম আমার প্রতি তার রয়েছে দুর্বলতা
সেও যেনো চায় আমার মতো বলতে বুকের আটকে থাকা কথা।

রুটিন মতো যখনই যেতাম দেখতাম সে রয়েছে পথে দাঁড়িয়ে
চোখে চোখ পড়লে লজ্জা মাখা হাসি হেসে দৌড়ে যেতো পালিয়ে।

তখন এক দারুন পুলক বয়ে যেতো মোর প্রতি শিরা-উপশিরায়
প্রহর গুনেছি কখন আবার দেখা হবে সেই ছোট্ট একটি আশায়।

ধিরে ধিরে মোরা জেনে গেলাম মোদের মনের গোপন কথা
ধরা দিলো শেষে বহু কাংখিত স্বাধনার ধন চরম স্বার্থকতা।

কি যে আনন্দ লেগেছিলো সেদিন যেদিন জেনেছিলাম সে আমার
তখন থেকেই হারিয়েছি নিজের অস্তিত্ব চিরতরে হয়েছি “আমি তার”।