আমার তোমার সবকিছুই ভালো লাগে
তোমার চোখ নাক চেহারা লিপ্সে ঠোট
তোমার হাসি, কান্না ও বিষাদ চোখ
তুমি যখন অনবরত চোখ নাচিয়ে কথা বলো
কিংবা গম্ভীর হয়ে চুপচাপ বসে থাকো
তুমি যখন বইয়ের মধ্যে নাক ডুবিয়ে হারিয়ে যাও
কানে হেডফোন লাগিয়ে গুনগুনিয়ে হাটতে থাকো
আমি মুগ্ধ হয়ে থাকি
আমার চোখ শুধু তুমিকেন্দ্রিক ঘুরতে থাকে
কোথাও যাও, কি কর, কি খাও, কি ভাবো
আমি শুধু তোমাকে নিয়ে ভাবি
তোমার ব্যাপারে চিন্তা করি
তুমি চোখের আড়াল হলে শুন্য শুন্য লাগে
তুমি আশেপাশে থাকলে স্বস্তি লাগে
তুমি যখন আমাকে ছাড়া সবকিছুতেই গুরুত্ব দাও
আমার খারাপ লাগেনা, কষ্টও লাগেনা
তোমার পাশে থাকতে পারছি এই বেশ
যখন তোমার খুব খারাপ সময় কাটে
আমি বুঝতে পারি, কলজেটা কেমন যেন
দুমড়েমুচড়ে যায়, হাহাকার লাগে
আমার খুব করে ইচ্ছে হয়, তুমি আমার কাছে আসো
মনের ভিতর লুকোনো কষ্টের কথাগুলো বলো
আমি কোন সান্তনা দিবনা, কোন আশ্বাস ও দিবনা
শুধু বলবো, ঠিক আছে! সবকিছুই ঠিক আছে
ব্যাপার না। তুমি তোমার সেরা টা দিয়েছ।
তোমার জীবনে যখন খুব আনন্দের কিছু ঘটে
আমি প্রথম ব্যাক্তি না হলেও অন্তত শেষ মানুষ
হতে চাই! যাকে তুমি তোমার আনন্দ শেয়ার করো
তোমার উজ্জ্বল চোখে আমি খুশির লহমা দেখতে
চেয়ে বলতে চাই, বেশ! এই না হলে জীবন!
জানো, যখন আকাশজুড়ে মেঘ ডাকে
ঝুম বৃষ্টি পড়ে, আমার কানে পিয়ানোর টিউন বাজে
কিংবা বসন্তে প্রকৃতিতে নতুন জীবন আসে
ফুলে ফুলে সয়লাব হয় শহর
সুঘ্রাণে মাতাল হয়ে উঠে বাগান
আমি শুধু তোমার কথা ভাবি
যদি জোছনা রাতে তুষার বৃষ্টি হতো
আমরা পাশাপাশি হাটতাম
আইসক্রিম কিংবা ক্যাপাচিনো, লাতে বা
আমেরিকানো একসাথে ভাগ করতাম
কেমন হতো!
এই আনন্দ উপভোগ করা হয়ে উঠেনা
তবে কল্পনার জলে ডালা মেলে
যেখানে আমি তুমি শুভ্র তুষারমাখা পথে বরফ খেলা করি
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
রাতজাগা ভোরে? যখন পাখি কিচিরমিচির করে ডাকে
যখন আকাশে তীব্র বজ্রপাতে কানে তালা লেগে যায়
তুমি কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকো
তখন কি আমার কথা মনে পড়ে?
বড্ড জানতে হয়!
একদিন আমি চলে যাবো
এই পৃথিবী থেকে আরেক পৃথিবীতে
তারাদের দেশে, বা অন্ধকারচ্ছন্ন গোরস্তানে
সাড়ে তিনহাত মাটির নিচে
তখন কি ভাববো তোমার কথা?
আমরা এক আকাশের নিচে থাকতাম
একই ভুমির বাতাসে শ্বাস নিতাম
একই ওয়াসার পানি খাইতাম
কখনো এক রিক্সায় চড়তাম
আচ্ছা! তুমি কেমন আছ?
এখনো কি গুনগুনিয়ে রবীন্দ্র গাও?
ভালোবেসে সখী, নিভৃত যতনে..……..