এমনও সময় আসে, শব্দের গভীরতা
হৃদয় পর্যন্ত পৌছোয় না।
শব্দগুলো মস্তিস্কের নিউরো সেলে
ঘুরপাক খেতে খেতে হারিয়ে যায়।
মন ও মস্তিস্কের মাঝে দাড়িয়ে যায়
দুর্বোধ্য দেয়াল।
পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন ভিন্ন দুটো জগত।
তখন পাশে থাকা মানুষকে মনে হয়
শত মাইল দুরের অচিন কেউ!
প্রবাস জীবনে পাশের ফ্ল্যাটের
ভিনদেশী কাকাবাবু!
যার সাথে শুধু "সুপ্রভাত" "শুভ রাতের"
শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
ঠিক এভাবেই খেলা করে জমানো স্মৃতিগুলো
আপন মানুষগুলো কালক্ষেপনে অচেনা
হয়ে যায়।
ধুলো পড়ে যায় অনুভুতির পাতাগুলোয়।
কালিগুলো কেমন যেন অস্পষ্ট।
ম্যাগনিফায়িং গ্লাস দিয়েও পড়া যায়না
অতীতের স্মৃতিগুলো!
মানুষ কি মনে রাখে?
সুখ না কি দুঃখ।
নাকি কাল পরিক্রমায় সব ডাটা "অটো-ইরেজ" হয়।
কে জানে!
আমি চাই, আমি তোমাকে মনে রাখি।
খুব করে সকাল-সন্ধায় ও মধ্যরাতে!
যখন আমি নিজ নিঃশ্বাসের শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাই।
খুব প্রভাতে, যখন ঘন কুয়াশার সাথে
লুকোচুরি খেলায় মত্ত সুর্য মামা।
আলো-আধারির মধ্যপ্রহরে ধোয়াশে
কাচভেদে তুমি হয়ে উঠো ভোর।
আমার ভোর, যেখানে পাখিরা
"জাগোনিয়া" গীত গেয়ে উঠে।
তোমার মস্তিস্কের বিশাল সমুদ্রে
ও মনের ছোট্ট কুটিরে কোন এক কোণায়
অন্ধকার সেলে আমি সুপ্ত থাকতে চাই।
সুখের আমেজে যখন তোমার পৃথিবী রঙিন
তখন আমি চোখ বন্ধ করে নিরালায়
লুকিয়ে থাকবো।
কিন্তু আমার আবদার,দুঃখ যখন তোমার
দুয়ারে স্বল্প সময়ের অতিথি।
কিংবা দীর্ঘযাত্রার ক্লান্ত মুসাফির।
আমায় বইতে দিও তোমার কষ্টের বোঝা।
সংগে নিও ক্লান্তির পথচলায়।
তোমার নির্গত অশ্রু মাটি না ছুয়ে
ছুয়ে যাক আমার রুক্ষ চেহারায়।
তুমি বলতে পারো, কেন?
এত কিছুর পরেও কেন!
এত সময়ের পরেও কেন!
এত হেলার পরেও কেন!
উত্তর একটাই " অল্টারনেটিভ"।
তোমার সার্ভারের "রিবোট" সিস্টেম।
তোমার হার্ড ডিস্কের 'বিল্টিন' ক্ষুদ্র 'বাগ'.
যা শত রিমুভ করলেও মুছে যায়না।
আমি তোমার জন্যই।
প্রতি নিঃশ্বাসের পৃথক ছোয়ায়.....…