পথশিশু! ও পথশিশু! একটু শুনে যাও!
বেশ তো দেখি খেলছ সবে! আমায় নেবে?
আমার ঘরে একা ভাল্লাগে না, একটু যদি নাও!
পথশিশু, একটু শোনো! একটু ফিরে চাও!
জানো, আম্মু গেছে খালার বাসায়, আপু গেল পড়তে
আর বুয়াটা যা ঘুমকাতুরে! আমায় পারবে না কেউ ধরতে!
যদি চাও খেলতে জানি ডাংগুলি, ভাঙতে পারি সাতচারা
ঠুকতে পারি মার্বেলও বেশ––তবে খেলতে হবে তাস ছাড়া;
সেবার শীতে মামার বাড়ি সব শিখেছি; সাজতে পারি ভূত!
হাসছ তুমি! কাদা মাখলে দেখে নিও! পাবে যদি খুঁত!
আচ্ছা, তোমার কোনটা প্রিয়––গোল্লাছুট, না কানামাছি?
বউচি কিংবা দাড়িয়াবান্ধা? তাতেও আছি।
নিয়েই দেখো! বল পায়ে ছুটতে পারি সবার আগে
মা যদিও ময়লা জামা দেখলে ভীষণ রাগে!
কি জানো, আপুটাও না বড্ডো পাজি
অবশ্য আমি একটু চকলেট দিলেই––খুব রাজি!
ইচ্ছেমতোন খেলতে দেবে, বলবে না আর মা-কে
ওই শোনো! বুয়াটা কেমন করেই নাক ডাকে!
আর এই ছেলে, তোমার দেখি উদোম গা
মা দেখলেই হলো! খালি গায়ে ঘুরছ যে খুব––দেবে বকা!
কী, তোমার জামা-ই নেই! তবে তো বেশ, আমার থেকেই নিও
স্পাইডারম্যান ছবি আঁকা ওটাই দেবো; খেলতে শুধু দিও!
বলি, ছুট লাগিয়ে যাচ্ছ কোথা! মোড়ের পুলিশ লাঠি হাতে? দেবে গুতা?
অ-ই পুলিশ, আমি কিন্তু খামচি দেবো, ভেংচি দেবো, দেবো ঢুঁস!
বাবা ফিরলে পিট্টি দেবো! আমার খেলা পন্ড! তবেই হবে হুঁশ!
(প্রথম প্রকাশ: বাংলা-কবিতা ডট কম, ফাল্গুন ১৪৩১, রমজান ১৪৪৬)