কদম মেপে বলি
কত হবে আর––
বড়জোর দৈর্ঘ্যে দশ ফুট, প্রস্থে আট
আশি ফুট ঘরেই দেখো পেতেছি সংসার

এইখানে আশি ফুট ঘরে
শব্দেরা দিনভর বেড়ায় সাঁতরে
প্রত্যাশার পাখি উড়ে সিলিং জুড়ে
ছড়িয়ে ছন্দের পাখা, অহরহ নামে
কবিতার ’পরে
যেন সীমাহীন চরে!

এই রৌদ্রময় ঘরে প্রণয়েরা খুব
করে হুটোপুটি
স্বপ্নেরা পাক খায় দরজার ফাঁকে
ঝরা পাতা ভরে স্মৃতি আসে ঝাঁকে ঝাঁকে
চুপে চুপে কার কথা বলে যায়
বিরহের মাটি খুঁড়ে
পুরো আশি ফুট জুড়ে

মাঝেমধ্যে ছাদ চুইয়ে নামে অভিমানী জল
মন ছুঁইয়ে বৃষ্টি, ক্ষণে বিদ্রোহী মেঘ, বিদ্যুৎ
এমনকি আততায়ী সুনামিরা এসে দেয় ছোবল
যেন ফুলে ফেঁপে বঙ্গোপসাগর
প্রতিবাদী অবিরাম ঝড়ে
মোটে আশি ফুট ঘরে

দিন শেষে গ্রীলভেজা কুয়াশার রাতে
নিয়ে কোরআন হাতে
আমি তবু উৎকর্ণ, উদগ্রীব––
প্রসারিত হাত ও কনুই বেয়ে প্রার্থনা ঝরে
অপার্থিব স্বরে!

থেকে থেকে সভয়ে শুনি
আশি ফুট ঘরে জিবরাইলের ডানার ঝাপটানি।