সাতই মার্চ একটা রক্তনদীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল
শিরদাঁড় তর্জনী
বেদনার কালস্রোত বয়ে চলা রেসকোর্সে
সেদিন দ্রোহের আঙুল উঁচিয়ে
জনতার মঞ্চে ওঠেন সভ্যতার ধীমান পুরুষ
তাঁর প্রসারিত বাহুর ঝলকানি আর
বিক্ষুব্ধ তর্জনী হেলনে কেঁপে ওঠে অত্যচারীর তখত
সমবেত মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
'ঝাড় পুঁতেছি রক্তবীজের'
চলো এবার যুদ্ধে যাই, মুক্তি চাই...মুক্তি চাই...
অতঃপর কালজয়ী ঘোষণা ছুঁড়লেন পাথরমানব বজ্রকণ্ঠে
'আর যদি একটা গুলি চলে
আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়
তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল
প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল
তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে...'
সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিগর্ভা ভাষণ
আর মুহুর্মুহু বলিষ্ঠ উচ্চারণ
কাব্য বাগানে ফুটে থোকা থোকা সাহসের ফুল
স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনে মুক্তিকামী জনতা
শৃঙ্খল ভেঙে উপচেপড়ে তর্জনী মিছিল
পারদভরা রক্তে দ্রিদিম দ্রিদিম আলোড়ন
স্লোগানে স্লোগানে মুখর মানচিত্র উদ্যান
উন্মুখ হয়ে থাকা পায়রাগুলো ডানায় মাখে বাংলাবসন্ত
ক্রমেই বাড়ে ঈশান কোণে মেঘের আওয়াজ
গর্বগৌরবের প্রত্ম খুঁড়ে লেখা হয় দ্রোহের উচ্চারণ...