হে নিদ্রাহত জীবনের গোপন দীর্ঘশ্বাস,
অস্তরাগের ঘূর্ণিতে ঘুরে চলে সময়-সর্পিণী—
তিন কাঁটার গোপন ছন্দে বাজে
তুমি, আমি, আর বিশাল নিখিলের গাথা।
যে চিত্রকর একটিমাত্র তুলিতে
রচে গিয়েছিল অনন্ত জীবনের পটচিত্র,
তাঁকে ভুলেই কাটে নিস্ফলা দুপুর—
অসারতার ছায়ায় ঢেকে যায় নিঃসীম অভিপ্রায়।
ধরণীর পশ্চাতে ছুটে চলে
লোভ-লালসার ছায়াপথে আত্মবিমোহিত প্রাণ—
জন্মান্তরের গোপন ছায়া খোঁজে ফেরে
নিয়তির অন্ধ ভাঁজে।
তুমি হয়ে ওঠো করুণ অনুগ্রহের মৃদু স্বর—
ক্রমশ বৈঠা চালাও ধীর স্নিগ্ধতায়,
যেন শেষ যাত্রার আগেই জেগে ওঠে
অন্তরের নিভৃত আলো।
হেলালির স্বপ্ন জড়িয়ে পড়ে বনানীর ফাঁদে,
ক্লান্ত হৃদয় ঘামে চাঁদের মতো—
নসিবের তিন কাঁটায় উড়ে যায় দিন,
ধূমকেতুর আলোয় মিশে যায় তৃপ্তির পরাগ।