জুলাই মানে—
ডেটাবেসে লুকিয়ে থাকা রক্তাক্ত হেডলাইন,
ভাইরাল এক বিপ্লব,
যা ট্রেন্ডিং হয় না,
তবু থরথর করে কাঁপায় মানচিত্রের পরিধি।
আমরা—
মেমোরি কার্ডে আটকানো পিতার যুদ্ধদিন দেখি,
আমাদের অস্ত্র—
ফেসবুক পোস্টের নিচে জমে থাকা অশ্রুবিন্দু,
ইনবক্সে ফিসফিস করা সাইবার যোদ্ধাদের শপথ।
আমরা সেই প্রজন্ম,
যারা পোস্টট্রুথ যুগেও খুঁজি সত্য,
যারা প্রতিটি মিমে দেখি
অপমানিত স্বপ্নের রক্তাক্ত ছায়া।
আমরা যে জিপিএস-এ ট্র্যাকড,
তবু বিপ্লব করি অফলাইনে—
জুলাইয়ের গোপন ‘কোড’ পাঠ করি
ডার্ক ওয়েবে, রাতদুপুরে।
জুলাই—
নয় শুধু পঞ্জিকার পাতা বদল,
এ এক ডিএনএ কোডে গেঁথে থাকা প্রতিরোধের নোটিশ!
সাইরেনের নিচে, রাইফেলের মুখে
লিখে যাই কবিতা—
যেখানে বর্ণমালারা পাথর ফেলে দেয় শাসকের প্রোজেক্টরে।
আমরা ‘আর্কাইভড বিদ্রোহ’—
ভিজে দেয়ালে ঝুলে থাকা চিলেকোঠার ছেলেটা,
যে এখন গুগল ম্যাপে বসে হাঁটে রাজপথে
মৌন মিছিল নিয়ে।
আমরা ভয় পাই না—
ড্রোনের ডানায় জুম করে রাখা চোখে।
আমরা বলি,
ডিএসএ-এর ধারাগুলো গিলে ফেলবে
আমাদের গলা নয়,
বরং তারা
ঘুমিয়ে থাকা নাগরিক বিবেককে জাগাবে!
জুলাই এখন—
স্মার্টফোনে ক্যাপচার করা
রক্তাক্ত এক স্বপ্ন,
যে স্বপ্নে সকালের কফির কাপে দেখি আমরা
ছিন্নপিঞ্জরের ধোঁয়া উড়ছে,
আর—
ভেসে আসছে সেই পুরোনো কণ্ঠঃ
“দাবায়া রাখতে পারবা না!”
জুলাইয়ের প্রোটেস্ট গান বাজে—
ইউটিউবের রিপিট প্লেলিস্টে,
টিকটকে নাচে না তা,
তবু আন্দোলনের ছন্দে ওঠে
মাঠ, নগর, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল।
এই দেশ—
এই কোডে, এই কবিতায়—
আমরাই তরুণ, আমরাই সম্মুখ সারি,
আমাদের মাঝেই গোপনে জেগে থাকে
জুলাইয়ে জ্বলে ওঠা
মৃত্যুপ্রতিহত সত্তা!