তর্জনী—
হ্যাঁ, সেই আঙুল,
যা সময়কে থামিয়ে দিয়েছিল এক মুহূর্তে—
না, ঘড়ির কাঁটায় নয়,
চেতনার হৃৎপিণ্ডে!

সে আঙুল ছিল ক্যানভাসের ব্রাশ,
তোমার কণ্ঠ— শব্দের রিভলবার,
একেকটি বাক্য—
অস্ত্র,
কবিতা,
বিস্ফোরক।

তুমি আঙুল তুললে,
আর আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো মানচিত্র!
রক্তে ভেজা নয়,
শব্দে রঞ্জিত
একটা স্বাধীন সীমানা!

আর সেই থেকে—
সব দেয়াল যেন স্লোগান হয়ে উঠল,
একেকটা গ্রাফিতি—
যা মুছে না কোনো সরকার,
না কোনো জল,
না কোনো বিস্মরণ।

তুমি অমর নও—
তবু বারবার জেগে উঠো,
তর্জনীর ডগায় আগুন নিয়ে,
যখনই কেউ প্রশ্ন তোলে—
"কে ছিল সেই সাহস?"

আজ—
পঞ্চাশ বছর পর,
স্বাধীনতার ব্যালকনিতে
আমরা দেখি টিকটক,
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন,
আর মুখোশে হাসিমাখা ভুলে যাওয়া!

তোমার বজ্রকণ্ঠ এখন
রিংটোন নয়,
আর্কাইভ নয়—
চেতনার সাবলিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক!

তর্জনী তোমার আজও দাঁড়িয়ে—
চোখের কর্নিয়ায়,
ঘুম না আসা রাতের ফাঁকে
বলে যায় ধীরে ধীরে—
"স্বাধীনতা শুধু ক্যালেন্ডারে নয়!"

তুমি আজও
একটি সোজা কবিতা,
যার প্রতিটি শব্দ
একেকটি আগুনের ঢেউ!