পড়েছিনু যে আজ শেষের কবিতা
নয় সে উপন্যাস, না রবি ঠাকুরের লেখা
নামহীন এক বিরাগীর অনুভূতির পাতা,
যেন পাঁড়াগায়ের সযত্নে বোনা নকশিকাঁথা।

পড়েছিনু তাদের দেখা কোন সন্ধিক্ষণে
হেমন্তে হঠাৎ এক শিমুলতলার নীচে,
বর্ণনাতীত তার সৌন্দর্য বিরাগীর নয়নে
ফুটিয়েছেন তা পাতায় শাশ্বত অক্ষরে।

বহু বছর পর পূর্ণতা পায় তাদের ভালোবাসা
কিন্তু এই গোধূলি বেলায় হল শেষ দেখা।
শেষ কেন? কারণ ঝরল যে একটি ফুল,
কবি যে বড্ড অভিমানী, উপসংহারে হলেন বাউল।

আত্মা, হৃদয়, মন— সবেতেই সে গাঁথা
তার নামেই উৎসর্গিত এই কাব্যকথা,
আজও অপেক্ষায় তার শিশিরের আর্দ্রতা
শেষ হয়েও হইল না যে শেষের কবিতা।।