এ মায়াময়  জীবন
বরো আজব জান ?  
যেন কচু পাতায়
এক ফোটা টলমলে জল ।
কত আশা ভালবাসায়
কত স্বপনে সংগ্রামে গড়া
কত আনন্দ সুখে ঝলমলে
কত সুখে, কত কষ্টে ভরা  
তারপরে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে
শেষে নিভে যায় হুট করে
যেমন করে ঝরে যায়
কচুপাতায় জ্বলজ্বলে হয়ে
জ্বলে থাকা টলমলে জল,
ক্ষণিকের এ জীবনে
কত রঙিন স্বপ্ন , সংগ্রাম ,
কত আনন্দ বেদনা  
আর কত অভিমান ,
যেন কি এক মোহে জীবনেরে  
আশটে পৃষ্ঠে  ঘিরে রয়
জীবন যেন এক
কুহকী ছলনাময় ।
কত কষ্টে , কত অদ্ধাবসায়ে  
আর নিরন্তর ত্যাগে
গড়া যে জীবন
বেলা শেষে পায় সে
চির আঁধারে
মরনের নিমন্ত্রন ।
যে জীবনের শেষে রয়
ঘোর তমাসায় ঘেরা
সে জীবন আসলে মূল্যহীন
নিদারুন ছলনায় ভরা ,
কি হবে এত দুঃখ কষ্ট সয়ে
ক্ষমতা আরাম আয়েশের
তীব্র মোহে  অন্ধ হয়ে
মিছে বেঁচে থাকা ?
তোমাদের  সিমাহীণ নগ্ন লোভ
হিংসা ,রিপু অন্তরে পুষে
ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে
পাপীষ্ট হয়ে বেছে থাকা?  
তোমাদের কলুষিত জীবন
বূকে ধরে সবার অনিষ্ট করে
তোমরা বূঝী বেঁচে রবে চিরকাল
এমনি করে,  যুগ যুগ ধরে?
যুগে-যুগে ,কালে-কালে
তোমাদের মত কত-শত
হাজারে-হাজারে  
শোষকেরা এসেছিলো
ক্ষমতার দম্ভে
তারাও হেসেছিল
তোমাদের মত
পৈশাচিক সীমারের হাসি
কিন্তু বেলা শেষে
অবশেষে কেও টেকেনি চিরকাল ।
সবাই তার পঙ্কিল কুৎসিত
জীবন শেষে পচে গলে
পৃথিবীর মাটিতে
মিশে গেছে চিরতরে।
এই ঝলমলে দোর্দণ্ড প্রতাপে
আয়েশে ভরা প্রাণ
এক নিন
হটাতই নিভে যাবে
এমনি করে  চিরতরে
জীবনের লেণা দেনা
মেটান হবেনা যে আর ।
জীবন যেন কচু পাতায়  
এক ফোঁটা টলমলে  জল  
যেন ক্ষণিকের তরে
ঝলমল করে  শেষে
টুপ করে ঝড়ে পরে ,  
তারপরে সীমাহীন ঘন কালো মেঘ
অসীম শূন্যতা ঘিরে রবে চিরতরে