কত দিন আমি হেঁটে হেঁটে গেছি –
এই ধুলময় ইটে ঢাকা শহরের বাঁকে বাঁকে-
আর ভেবেছি বিষণ্ণ মনে ,
প্রকৃতির শ্যামল সজীব কি রুপ তবে
পোরা ইট আর কংক্রিটের মাঝে ঢেকে
চিরতরে গেছে হারিয়ে ?
আর কি পায়েতে পাবোনা
ভোরের শিশিরের পরশে ভেজা
স্নিগ্ধ সজীব দূর্বা ঘাসের ছোঁয়া?
আর কি হবে না দেখা
বাঁধন হারা প্রমত্তা নদীর
উদ্দাম বয়ে যাওয়া?
শুনতে কি পাবোনা আর
বনের পাখিদের মিষ্টি কলতান ?
দেখতে কি পাবোনা আর
রাতের তারাদের সাথে সাথে
জোনাকির ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি জ্বলা?
চাঁদের জোছনায় ভিজে পূর্ণিমায়
হারিয়ে যাওয়া কি হবে না আর?
আর কি হবে না দেখা
শ্যামল সবুজ ধানের শিষে
উদাসী বাতাসের দোলায়
সবুজ শ্যামল ঢেওয়ের বয়ে যাওয়া
আর কি হবে না দেখা
রঙিন পালের নাওয়ের
নদীর বাঁকে বাঁকে আসা যাওয়া ?
আমি তো তাই তোমাদের
এই পাথর নগরে থেকে
তোমাদের মত
পাথর হৃদয় হতে পারিনি আজো –
তাই যদি পারি সেই শ্যামল
সজীব প্রকৃতির মাঝে
বারে বারে যাব ফিরে –
আমার মা-মাটির -
সোঁদা গন্ধ গায়ে মেখে
শ্যামল স্নিগ্ধ সবুজ গাঁয়ের
আঁকা বাকা মেঠো পথের
বাঁকে বাঁকে হেঁটে হেঁটে যাব-
যত পারি শ্যামল সবুজ প্রকৃতির -
রং, রুপ, আস্বাদ
বুক ভরে নেব, প্রান যত চায়
আমি তাই রয়ে যাব আমৃত্যু
আমার প্রানের স্বদেশ
সবুজ শ্যামল বাংলায়