জীবনের তরী কোথায় থামাবো কোথায় রাখবো যাত্রী
কারন আমি যে ভাগ্যবতী
যে কুলে যাই সে কুলেই দেখি সবাই সুখ চায়
সবাইকে খুশি রেখে আমি থাকি অসহায়
এটাই যে আমার নিয়তি
আসলে আমি যে ভাগ্যবতী ।।
সুখ চিনেছি ,সুখ বুঝেছি সুখি আমি হইনি
কাক পুষ্ট সুরে মঞ্চে মুগ্ধতা ছড়িয়ে হাততালি চাইনি
সবার হাসিমাখা মুখ দেখে দুঃখ লুকিয়ে
আমি বোকা বলে সুখ দেয়নি এই ধরিত্রী
কারন সুখী না হয়ে ও আমি যে ভাগ্যবতী ।।
ঠোঁট দুটো নাড়িয়ে দিয়েছি কত হাসি
কারন আমি যে তোমাদের অনেক ভালোবাসি।
শত-সহস্র লোকের বিনিময়ে দিতে পারনি আমায় একটু হাসি
যত তত যন্ত্রনা-দুঃখ সয়ে ভালোবেসে গেছি আমি নিশি,
যানচালকের মতো কুৎসিত গালি শুনে দাঁত দেখিয়ে হেসেছি,
জীবনের তরী কোথায় থামাবো কোথায় রাখবো যাত্রী
কারন আমি যে ভাগ্যবতী ।।
হাসাতে যদি না পার গো তোমরা,দিয়ো খানিক কষ্ট
ভেবো না এতে আমার জীবনটা হয়ে যাবে নষ্ট।
দুঃখ জলরাশি সমৃদ্ধ সমুদ্র পাড়ে আমার ঠিকানা,
তোমাদের সুখের নৌকায় পেরোনো যাবেনা আমার মনের সীমানা
কারন যে ভাঙ্গা কাঁচে দুঃখ নিয়ে পরে আছে আয়না।
সুখ চেয়েছি সুখ দেয়নি আমায় এই ধরিত্রী
কারন সুখী না হয়ে ও আমি যে ভাগ্যবতী ।।
তোমরা বলেছিলে,
রক্ত জবা ঠোঁটের হাসি, গালের মাঝে টোলের আভায় পাপড়ি ঝড়ে রাশি রাশি
শত-সহস্র লোকের বিনিময়ে দিতে পারনি আমায় একটু হাসি
যত তত যন্ত্রনা-দুঃখ সয়ে ভালোবেসে গেছি আমি নিশি।।
হারিয়ে যাবো বলেছি
সাগর পেরিয়ে শূন্যে কোথাও, রাজ্য গড়বো আমি সেথায়
দুঃখের সাগরে বসে তেমন মনের মানুষ আমি খুঁজে পাবো কোথায়?
আমিতো পাগল তবুও কেন একাকীত্ব সহ্য হয়না?
ঢের পাগলামি করেছি, মানুষের অনেক রুপ দেখেছি,
প্রশ্ন করি আমি পাগল বলে কি আমার সাথে ঘর বাধা যায়না?
অবশেষে হাসিমুখে মেনেছি অনন্ত যাত্রা সঙ্গীবিহীন কাটাবো সারাদিন- রাত্রি
হয়তোবা এই জন্যই আমি দুঃখী হয়েও ভাগ্যবতী।।