মনে করো,
সে অনেকটা ছায়ার মতো;
পুষ্পে শোভিত বৃক্ষের মতো;
গম্ভীর কিন্তু দুর্দম্য স্রোতস্বিনী নদীর মতো;
কিংবা কত শত বৎসরের গল্প হয়ে
দাড়িয়ে থাকা নিরব পর্বতের মতো-
সে ভীষন গম্ভীর, কিন্তু চঞ্চল তার মন।
মনে করো,
সে আবেদনময়ী কিন্তু ক্ষণলগ্না বসন্তের মতো;
স্নিগ্ধ কিন্তু বহুল প্রতিক্ষিত বৃষ্টির মতো;
সুন্দর কিন্তু ধীরে ফোঁটা পদ্মের মতো;
আকর্ষনীয় কিন্তু কাঁটাযুক্ত গোলাপের মতো-
সে ভেতরে চমৎকার, বাইরে সূক্ষ্ণ আস্তরণ।
মনে করো,
সে অনেকটা পাখির মতো;
যে পাখি উড়তে জানে, কিন্তু পালাতে চায় না।
প্রতিক্ষিত গোধূলীর মলিন রঙের মতো;
স্বেচ্ছাচারী কিন্তু উদার ঝর্ণার মতো।
সে কবিতার মতো, কবির ভীষণ প্রিয় একজন।
মনে করো,
সে আহামরি কিছু না;
দু চার জনের মাঝে রুপে সে আলাদা না।
কিন্তু মায়ার নদী আছে তার চোখে,
দেখা যায়, একটাবার তাকায় যখন।
মনে করো,
সে মন খুলে হাসতে জানে না।
কিন্তু তার ঠোঁটের কোণে
ক্ষীণ অথচ তৃপ্তিময় এক রেখা
অনাবিষ্কৃত নয় কবির কাছে;
সে রেখা ভাবায় অনেক কথা,
ভীষন ইচ্ছে- যদি হয় স্বপ্ন পূরণ।