একবার ইচ্ছে হলো প্রত্নতাত্ত্বিক সেজে, নিজেকে খুঁড়তে খুঁড়তে
ভীষণ ঝড়ের হাওয়াগুলো অমাবস্যায় ছড়িয়ে দেই।
বিস্তর সেই যজ্ঞ শেষে, হাতে এলো কেবলই একটি প্রস্তরখন্ড!
দিক বেদিক দেখে প্রস্তরখানা দখলে নিয়ে লুকিয়ে রাখলাম নিজের কর্দমাক্ত মেঠো ব্যাগটায়।
ঠিক করেছি! লোহা পুড়িয়ে এখানে লিখবো সংরক্ষিত দুঃখের অল্প সল্প গল্প।
সংরক্ষিত বলে কি কেবলই সংরক্ষিত?
না! মনের সেই মিউজিয়ামের সবশেষ যে কোণাটা আছে,
যেখানে সুখের আলো যায় কদাচিৎ, ঠিক সেখানে!
চাইলেও প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতে পারবে না আমার সেই সংরক্ষিত দুঃখগুলি।
শুধুই পড়ে রবে ডানা ঝাপটানোর আফসোস! হাজার বছরে ও যেন ক্ষয় না ধরে,
তাই প্রস্তরখন্ডে বিশেষ কায়দা করবো, ভেবেছি সংরক্ষিত দুঃখের উপর সুখের সিরামিকি প্রলেপ দিবো।
হাজার দর্শনার্থী আসবে, ঝিকমিক প্রলেপে মুগ্ধ হবে,
প্রস্তরের সংরক্ষিত দুঃখের প্রজাপতি গুলো কেবলই থাকবে এই প্রত্নতাত্ত্বিকের!
কেবলই এই প্রত্নতাত্ত্বিকের!