যে অন্তিম নীরবতা তোমার রাষ্ট্রে পাগলের প্রলাপ,
আমি সেথায় তুচ্ছ বরং, নিষিদ্ধ যে সুখের আলাপ।
তোমার অন্ত্রে গনতন্ত্র, অমিল হলেই হরতাল
পথচারী আমি সেই শহরে, পথ খুজেছি কতকাল।
ধারার উপর ধারা জারি, সংবিধানে তোমার ঘ্রাণ,
সব কারার দেওয়াল ছিড়ে, তোমার ধারায় করেছি  গান!
সব ধারা মুছে গিয়ে জারি হোক বিদ্রোহ, বিবাদে অপরাধী  আমি, ঘোষণা করছি উন্মুক্ততা আমার!


এলোপাতাড়ি শব্দাঘাতে বিদীর্ণ মোর কবিতাগুলো,
পেরিয়েছে হাজার বছর, যত্ন না পেয়ে পড়েছে ধূলো।
কদমফুলে সাজাবো ভেবে, অপেক্ষায় ছিলেম বর্ষার,
বিদগ্ধ আকাশ রংধনুর ছোয়া পেলেও, সুশব্দ মেলেনি আর।
কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছি পাপী,  করেছি বিষ বৃক্ষে বাস,
স্বপ্ন দুয়ার দিক হারিয়েছে, অচিন গহীনের হয়েছি কৃতদাস।  

কৃতজ্ঞতাটুকু আমার থাক, তুমি নাও ঘাটতিটুকু,
রাত পোহালেই শহরজুড়ে মিথ্যে মায়ার ভাটা পড়ুক।
কিসের এতো নিয়ম মিছিল, হাতকড়া আজ সময়ের কাঁটায়,
বিষাদ মোমের বাতি জ্বেলে, ধোঁয়া ছড়িয়েছি বিষাক্ততায়!