মন্দ্রিত এক গানের কলি
আজকে মনে উঠলো জ্বলি;
হায় রে আবার জ্বলবে কবে
আমার চোখে; আমার মনে; আমার অনুভবে।
সে ভাবনায় নিত্য থাকি মাতাল;
আকাশ দেখি; দেখিনা সেই পাতাল।
কিসের ভাবে আমার মনের জরা
করলো আপন এই পৃথিবী ত্বরা;
অথচ যার সময় জানি হলো ক্ষণকাল
পেয়েছি হায় আমার গানের তাল;
তাল না বলাই ভালো
নিকষ আঁধার আরো নিকষ কালো।
গানের সুরে বহুদূরে ছুটি
বিবশ হৃদয় সফর করে এই জগতে লুটি;
শিকল পড়া আমার মনের ভাবনা আজি আসে
পৃথ্বী ভালোবাসে
কিসের এতো মোহ;
কিসের জাদু করলো আমায় করিনা আর দ্রোহ,
মানুষ আমার জন্ম নিয়ে আসা;
পৃথিবীকে কেবল ভালোবাসা।
অথচ সেই নিকষ আঁধার টানি
তারে আমি আপন বলে মানি;
নিজের গানে বলিনা আর
দেখি চোখে অকূলপাথার
তারে আপন ভেবে আমি আজকে শুধু চলি;
আমার হৃদয় উঠেছে উছলি।
কোথায় আমার গান;
কে করেছে আমারে গান আজকে বেগে দান;
এতো যখন প্রশ্ন জাগে আমার মনে কোলে;
তখন দেখি গানের কলি আপনা থেকে দোলে।
ক্ষণকালের ভ্রমণ শেষে যাবো জানি কোথা!
তবু মনে ভাবনা আসে ইহকালে হোথা;
কেন এলাম ভবে
কিসের মায়া টানছে আমায় নিগূঢ় কলরবে,
কিসের জাদু এই পৃথিবীর বুকে
কিসে মোহে দেখছি আমি আকাশ তারা ধুঁকে।
এতো কথার পসরা সাজাই আমি
আরো নিচে নামি
দেখি কেবল নিকষ আঁধার বেগে
আছে আমার সাথে কেবল লেগে।
জন্ম থেকে জ্বলন্ত সেই ফসিল প্রাণের গানে
দেখছি সকল জ্বলছে ধেয়ে আমার ওই আসমানে;
কোথায় যাবো মৃত্যু এলে আর;
চোখের শার্শি মেলে রেখে দেখি যে আঁধার।
মৃত্যু কালে কিসের ছায়া পড়বে আমার চোখে
কেন লোকে মাতবে তখন নিগূঢ় করুণ শোকে;
কি ভাবনা আমায় ভাবায় নিতি;
কেন আমি করছি কেবল গীতি।
সহসা এক মেঘের ছায়ে সূর্য গেলো ডুবি;
দিনের আলো নিভে গেলো বৃষ্টি এলো খুবি।
তখন মনে উত্তর আসে জোরে
ছিলাম আমি মিছে জগত ঘোরে;
মিললো আমার আলো;
মেঘের ছায়া আনলো বয়ে কালো;
সেখান হতে শুরু হলো আমার জগত চেনা
আজকে আমি দ্যুলোক বুঝে করতে যে চাই জেনা।
কোথায় মেঘের ছায়া
আবার আলো ফুটফুটে হায় মাখলো আলোর কায়া;
সব দেখেছি চোখে
আঁধার আমায় চিনিয়ে গেলো মেতে আপন শোকে।
এই জগতে সফর শেষে আমার চলা শুরু
আঁধার আসে; আলো আসে মাখেন আমার গুরু।
আমি যে তাঁর দাস;
মন করে হাঁসফাঁস;
আমার জীবন ভ্রমণ শেষে যাবে চলে সেথা
আসন পেতে বসবে যেথা দেখবো ব্যাকুলতা।
এই ভ্রমণের নিত্য রাঙা রঙে
আমায় তিনি বিচার দিবেন নানা কাজের ঢঙে।
ফসিল মনের কথাগুলোর দাবি
স্বর্গ নাকি পাবো নরক জানিনা সেই ভাবী;
তবু আমার চলা
আমার জীবন নিশান উড়ে বেঁচে আছি বলা।