চলছে অধুনা আসর জুড়ে যে আপন কবিতা পাঠ,
আমি যে হয়েছি প্রধান অতিথি খুঁজে পেয়েছি যে বাট।
সকলে আসলো আসরের পরে একে একে বলে যায়,
দিয়েছে তাহারা নিজের মনেতে আমার কবিতা সায়।
কেউ পড়ে গেছে গদ্যরীতির কেউবা পড়ে ছন্দে,
আমি শুনে শুধু পুলকিত হয়ে মনে পুষি আনন্দে।
তবু আমি হাসি মিতব্যয়ী হাসি আনন্দ থাকে চুপে,
পারলে অধুনা লুকাতাম আমি লাজে কোন গূঢ় ক্ষুপে।
একের পর যে আর লোকে আসে শোনাতে কবিতা বাণী,
বিদায়ের মালা দিবে জানি আমি অধিহার ইতি টানি।
সব শেষে আসে আমার প্রকাশ উত্তরীয়ের দানে,
আমি ছুটে যাই মাচানের 'পরে আপন কবিতা ত্রাণে।
গলে পড়ি আমি উত্তরীয় যে লাজুকতা মাখি মনে,
তার প্রকাশের কথা দেখে সবে হাসিছে নীরব ক্ষণে।
চারিদিকে শুনি আমার ভক্ত পড়েছে যে কোলাহলে,
তাদের মুখেতে শুনেছি যে আমি আমার নামটি জ্বলে।
প্রকাশের সাধ জানি আছে সবে গুপ্ত কঠোরে বাণী,
তাই ভাষণের আগে আমি বলি সকলেরে আমি জানি।
উচ্চারি আমি প্রেমের পঙক্তি আমার মুখের স্বরে,
বলে উঠি সবে ভালবাসা ছাড়া প্রেমিক হয় কে ভরে।
আমি কবিতার এক প্রেমিকার মনের মেঘের মালা,
লিখে চলি তাই আজ ভাবনায় আমার প্রেমের ডালা।
আর বলে উঠি বিধাতার দান পেয়ে যায় যারা কবি,
এঁকে চলে তারা এই জগতের বিধাতার কৃপা ছবি।
সবে শুনে যেন দিলো আজ সায় আমার ভাষণ শেষে,
দিলো যে আমায় সকল কবিরা আমার নিকটে ঘেঁষে।
অবশেষে তারা দিলো উপহার আজকের আয়োজনে,
সেই ব্যবহারে  আমার হৃদয়ে আজ এ কবিতা ঘনে।
মানুষের রূপ দেখে আমি আজ দমাতে নারি কান্না,
নবীন কবিরা স্বরূপে এসেছে বলি তাদেরি পান্না।
শুনি আমি পাঠ তাদের কবিতা মুগ্ধ বিবশ হয়ে,
বুঝেছি যে আজ কবিতা সবের চলে প্রাণ কথা কয়ে।
মাচানের 'পরে যারা বসে ছিলো সকলে ছিল যে গুণী,
তাদের কবিতা আমিও শুনেছি যেন বয়ে চলা ধুনী।
যাই হোক আজ অবশেষে দেখি শেষ বাঁশি বেজে উঠে,
আন্তরিকতা দেখে আজি শুধু বিনয় কাতরে ফুটে।
তাদের বিনয় দেখে আমি আজ নিজের প্রকাশে তুলি,
বিনয় জেনেছি মানুষে মানুষে মান দিয়ে চলে দুলি।
অবশেষে ফিরি নিজের আলয়ে আনন্দ মেখে সনে,
এই স্মৃতিটুকু চিরকাল জানি রইবে আমার মনে।