সূর্য তোমার পতাকা সমগ্র পৃথ্বীর লাগি তবে কেন সীমা বুনে--
করেছে সাম্প্রদায়িক অধুনা আমার চোখে দেখেছি সীমানা বাঁধা;
আরাধ্য ধনের মতো পড়ছ কেবল চোখে কিসের কথন শুনে
দিয়েছি নিজের মন বিধাতার তরে আজ আমার হৃদয় সাধা।
মানুষের সব কিছু মাঝে রয়েছে বৈষম্য হোক সে ক্রন্দন হাসি
নিজ কাব্য কেন চলে কিছু মানুষের কাছে আমি জানি নই সূর্য;
অধুনা কেন বা তুমি জ্বলছ সীমার পারে উঠেছ আজকে ভাসি
বাজাও নিজের ভেরী সমগ্র আকাশ জুড়ে তোমার রয়েছে তূর্য।।
কবির কথা যে জানি নহে কোন গোষ্ঠী লাগি সমগ্র ধারার ছবি
সীমাহীন কাব্য ধারা এঁকেছে কবিরা জানি মনুষ্য কল্যাণকর;
তাই আজ সীমা বেঁধে করেছে যাহারা হেয় বুঝতে পারেনি কবি
কবিদের কিবা আছে নিজের তেমন গণ্ডি জানি নেই নারী, নর।
অসীম ললাটে লিখা নিয়তির চাবিকাঠি কবিরা মেনেছে ঘোরে
পায়না কিছুই তারা দিয়ে যায় শুধু দ্যুতি অন্তিম মুহূর্তে আজ;
মুহুমুহু ভালোবাসা পেতে চেয়ে কবি লিখে চলে লিখে সুকঠোরে
তার মত বেদনাকে চিনতে পারেনি কেউ ভবে করেছে বিরাজ।।
আর্তচিৎকারের গীতি কবিরা জাগায় কাব্যে জীবনের দোলাচলে
সূর্যের মতন রূপে নাই কবিদের মাঝে কোন ধরাবাঁধা আর;
তাই কবিদের লিখা সীমাহীন পার ভেঙে সকল আঁধার দ'লে
সূর্যের তেজের কথা কবিদের কাব্যে ফোটে জেনে সব অন্ধকার।
কিসের আরতি মেখে কবিরা গুনেছে সীমা জানেনা আমার মন
কেন তবে তোষামোদি কবিরা করছে আজ নিজস্ব গণ্ডিতে বসে;
বিধাতার দানে কবি আঁকবে সকল ছবি করে যাবে আয়োজন
জীবনের শেষ সীমা করেনি কবিরা বীমা প্রয়োজনে নাহি কষে।।
সূর্য তোমার আলোর ধারা বদলে এবার দেখাও নিজের তেজ
কবিদের জাগানিয়া কথার বানের স্রোতে গড়না চাঁদের মতো;
তোমার তেজের কথা জানবে সকল লোকে জাগাও নিজের সেজ
করে চল তাই মনে সেখানে কবিতা ফোটে করে চল সুখ ক্ষত।
কবিতা তোমার দ্যুতি কবিরা তুমি যে নিজে ন্যায়নীতি মেনে চলা
তোমার সীমানা নাই আলোর সীমানা কেন বাঁধতে চাইছ জোরে;
তাই আজ হোক শুধু তোমার চলন হোক হিতের কথাটি বলা
কবিদের সনে এঁকে জীবনের জয় মেখে জেগে উঠ সুকঠোরে।।