রূপসীর মাধুরীতে চন্দন বর্না
সুন্দরী তুমি যেন চপলা সে ঝর্ণা।
নীলাভের চোখে আঁকা মায়াবতী হরিণী,
তাকালেই মনে হয় কাঁপে নিজ ধরণী,
কুন্তলে বাজে সুর কৃষ্ণকে ধর্না।
রূপসীর মাধুরীতে চন্দন বর্না।।
পাখোয়াজ বাজে শুনি বাজে সুর শব্দ,
বেলোয়ারি হাসি শুনি করে মন স্তব্ধ।
চেয়ে থাকি তৃষা মেখে টোল পড়া কপোলে,
আনচান করে মন নিকষে উঠে দোলে,
সেই রাঙা মুখ দেখে গোলাপেরা জব্দ।
পাখোয়াজ বাজে শুনি বাজে সুর শব্দ।।
উতরোলে কাঁপে দেখি ললাটের সিন্ধু,
বেদনের ভাঁজ পড়ে ভাবনার বিন্দু।
খুঁজে চলি তোমাকেই সময়ের কলসে,
পেয়ে শুধু হারিয়েছি বেদনের অলসে,
অথচ আমার কাছে তুমি প্রাণ বন্ধু।
উতরোলে কাঁপে দেখি ললাটের সিন্ধু।।
কৃশাঙ্গ শরীরের শুভ তনুগাত্রী,
দিবে বলে আশা রাখি ওগো প্রেমধাত্রী।
পৃথিবীর বলয়ের সীমারেখা পেরিয়ে,
ঋক্ষের ধারণা দেই রূপ সব ছাড়িয়ে,
হারিয়ে ফেলেছি জ্ঞান দেখে ওগো পাত্রী।
কৃশাঙ্গ শরীরের শুভ তনুগাত্রী।।
আজ শুধু মনে ভাসে তোমার সে চিহ্ন,
মুছে গেছ তবু প্রাণে করিনি তো ছিন্ন।
চপলার বাণী মাখি ভালোবাসা রয়েছে,
কর্ণের ভাগে আজ মধু প্রেম সয়েছে,
সব কিছু ভুলে যাবো ওগো তুমি ভিন্ন।
আজ শুধু মনে ভাসে তোমার সে চিহ্ন।।