সওদা করে ফিরবো বাড়ি   এলাম নদীর ঘাটে,
ছিলাম আমি সারাটি দিন আমার চেনা হাটে।।
ঘনিয়ে এলো প্রদোষ দেখি    সবকিছু যে লাগছে মেকি,
ফিরবো বলে খুঁজছি আমি  তরী অমন বাটে।।

হটাৎ দেখি ঝড় উঠেছে      চেনা নদীর তীরে,
আমার ঘরের সবাই আছে   ভুখা পেটে ঘিরে।
তাই যে সকল তরীগুলি     পালালো আজ দেখেই ধূলি,
কেমন করে মিটাবো আর  ভুখা যে না ছাঁটে।।

সহসা এক তরীর মাঝি  ডাকে আমায় জোরে,
অচেনা সেই মাঝির মুখে    হাসি দেখি ঘোরে।
বুঝিনি আর কে এসেছে       ত্বরার লাগি মন ভেসেছে,
উঠে পড়ি সেই সে তরীর    গায়ে মাখা খাটে।।

চলছে তরী ঝড়ের বেগে       বুঝিনা তার চলা,
সমুখ ঝড়েই অদৃশ্য সব     দেখিনা তার ঢলা।
তাই দিয়েছি মাঝিকে রে       চলতে তারে চলার জেরে,
চলে মাঝি ঝড়ের কোলে  ঝড় তবু না কাটে।।

অবশেষে ভিড়লো তরী      অচেনা এক পারে,
হটাৎ দেখি উধাও মাঝি        অমন অন্ধকারে।
জাগলো মনে ভয়ের দিশা      দেখছি কেবল অমানিশা,
অচেনা সে কূলের পারে  অতীত হৃদয় চাটে।।

তখন দেখি আলোর রেখা    চিনতে তাঁরে নারি,
কেমন আলোক পশে সেথা   ঝরায় চক্ষু বারি।
ভুলে গেছি ভুখা আনন    দেখে গেলাম বেহেস্ত কানন,
হুঁশ ফিরে যে আবার মনে  ছুটি পারের পাটে।।

নেই কোন পার সেথা ছিল বিফল কান্না আসে,
কেমন করে কেড়ে নিল  ওদের আহার গ্রাসে।
হটাৎ দেখি ভাসছে সে মুখ    খাদ্য তাদের মিটালো ভুখ,
ছুটছে তারা দেখি কেবল   চেনা জগত মাঠে।।