জুতাকে সেলাই করছে অধুনা আমার পাড়ার মুচি,
জুতার তলাটি খসে গেল আজ কেমনে বেদনা ঘুচি।
মুচি হেসে বলে ওরে দাদা ভাই চিন্তা কিসের আর,
রয়েছি যে আমি দেব নব তলা মেখনা মুখে আঁধার।
শুনে ভালো লাগে আবার জেগেছে আপন ব্যেয়ের ভয়,
বুঝে মুচি বলে তোমার নিকটে নেবনা খরচ লয়।
শুনে আজ হাসি এই সম্বল পকেটে ত্রিশটি টাকা,
জানেনা যে মুচি আমার পকেট আজকে ভীষণ ফাঁকা।
তবু হাসি আমি মুচি বলে কথা শুরু করে তার কাজ,
আমার কপালে ফুটেছে অধুনা মূল্য বেদন ভাঁজ।
কাজ শেষ করে মুচি চেয়ে বসে পঞ্চাশ টাকা হায়,
লাজে আমি দেখি আমার সাধ্য আর যেন না কুলায়।
মুচি বুঝে বলে দাও তবে ভাই ত্রিশ টাকা আজ পেশে,
আমি বুঝিনি যে কোথায় বুঝলো নিজ সম্বল হেসে।
বাসা ফিরে আসি বাবা বলে উঠে জুতা দেখে নিজ পায়ে,
বলে এতটাকা কোথাকে পেয়েছি এমন ভুবন ছায়ে।
চামড়ার তলা দিলো মুচি এঁটে বুঝিনি তাহার ছল,
তাই দেখে ভাবি বুঝেছি মানুষ ছিলো তার সম্বল।
নিজ সম্বল শেষ হয়ে গেছে মুচি দিলো আজ এঁকে,
অথচ তাহার সম্বল দ্বারা আমাকে দিয়েছে মেখে।
পরে শুনি আমি জুতার তলটি দামে আসে শত টাকা,
পরের নিকটে এতো সম্বল দিল মেখে নিজ ডাকা।
তাই ছুটে যাই মুচিটির কাছে জিজ্ঞাসী সেই কথা,
জুতার তলায় কেন দিলো এঁকে সম্বল ব্যাকুলতা।
মুচি হেসে বলে লজ্জার কথা কেন এলে তুমি ভাই,
তোমার সহায় কম ছিলো বলে দিলাম আপন তাই।
হয়তো উছিলা আমি রয়ে আছি তাই পেরে গেছি আজ,
যখন তোমার দিন ফিরে রবে করবে তুমি বিরাজ।
সেদিন না হয় দেখো গরিবেরে যার সম্বল তলা,
আজ তুমি চলো আমার তলাতে কাল হবে জয় বলা।
তাই সম্বল দিলাম আমার জগত ঘুরতে আছে,
সময়ের চাকা যেমন চলছে তাই বা চলুক পাছে।