খঞ্জরে খঞ্জরে আজ ঘূর্ণিঝড়ের মাতন জোয়ার এসেছে পটে
লহমার ক্রান্তিকালে রাজপথের তমিস্রা দ্রুত এসে ভরে যায়;
তখন দেখেছি আমি বন্দরে বন্দরে শুধু ভিড়ে সব তরী তটে
গ্রাম, গঞ্জ শহরের সকল মানুষে আজ নিজের আবেগে ধায়।
দুর্বিনীত প্রাণ আজ চক্ষুর সম্মুখে ঝরে বুলেটের আগ্রাসনে
উদ্দীপ্ত কামনা যেন ছড়িয়ে পড়েছে বেগে আপনার মহিমায়;
মসীর শক্তির জোরে কবিরা হয়েছে আজ মহাবীর সেই রণে
পাণিতে মুগুর কিবা বাঁশের খঞ্জরে যেন দিয়েছে মানুষে সায়।।
অথচ সমুখ পথে রাইফেল তুলে আছে শত্রুদের পাণি ভরা
স্বৈরাচারীর হৃদয় রঞ্জিত করবে লাশে মাখা বাসনার বাণী;
রুধিরের প্রিয় গান বহতা নদীর মতো রাজপথে নামে খরা
শুধু মানুষের বেলা চলছে সঙ্গীত যেন স্বৈরাচারী ইতি টানি।
মুখোশের আড়ালের অপলাপ রূপকথা আজ যেন প্রকাশিত
মানুষের মর্মে যেন জাগানিয়া গান শুনি বিচারের এ আহ্বানে;
অধুনাতুন মানুষে পতনের লাগি শুধু চেয়েছে কেবল হিত
গেলে যাক রুধিরের মহাপ্লাবন ছুটুক শ্লোগানের সেই তানে।।
তখন দেখেছি আমি রাস্তার তমিস্রা যেন মানুষের সমাহারে--
উপলক্ষ গড়ে তোলে নতুন বিপ্লব এক এসেছে উজান পথে;
মৃত্যুর শঙ্কাকে তারা করেছে বিজয় শুধু পরানের কান্ত দ্বারে
অথচ সে স্বৈরাচারী পালিয়ে বেঁচেছে বুঝি কাপুরুষ সেই রথে।
মানুষের ক্রোপানলে দিয়েছে বিজয় ধরা উল্লাসের নাদ পথে
উৎক্ষিপ্ত হয়েছে প্রাণ বিজয় মিছিল নামে মশালের অগ্ন্যুৎসবে;
হারিয়েছে শক্তিধাঁর স্বৈরাচারী নিজে বুঝি মহাপ্লাবনের স্রোতে
স্ফটিক নিগূঢ় গানে বিজয় দিয়েছে ধরা সবে মাতে কলরবে।।
সোনালী ভোরের দিনে দেখি নাই স্বৈরাচারী নিজের শকট লয়ে--
এসেছে পুনর ফিরে আমায় আঘাত করে ক্রূর মাখা সেই হাসি;
নিজের আলয় ছেড়ে হারিয়েছে নিজ গেহ বিদ্ঘুটে কথন কয়ে
তাই বুঝি দেশ বুকে ফিরেছে ফাল্গুন সুখ আজ উঠেছে উদ্ভাসি।
নতুন কোরক যেন হাসিছে পাপড়ি মেলে স্বাধীনতা পেয়ে ঢের
মানুষের মতো করে হেসেছে লুব্ধক পথে শিশুদের সনে আজ;
অরণ্যে ক্রন্দন বুঝি গিয়েছে অধুনা থেমে পাখি পায় মুক্তি টের
দেশের মানুষে আজ সুখের লহর মেখে করে দেশেতে বিরাজ।।