জ্ঞানী কহেন গুণীর কথা
গুণীর যে নাই ব্যাকুলতা;
তবু দিলেন শ্রবণ
মন যেন তার আছে পড়ে অন্যদিকে সে মন।
নিজের মনের বেলায়
গুণী সদাই থাকেন মগণ নিজের কাব্য খেলায়।
পাঠক তারে দিলো সাড়া
তাই আছে সে আজকে খাঁড়া
এমন মাচান 'পরে
তার কবিতা পড়ছে সবে সারা আসর ভরে।
তবু গুণীর মন যেন আজ
মাখতে রত নিজ কারুকাজ;
লাগছেনা তার ভালো
মুখটা যে তার আছে কালো
জ্ঞানী বোঝেন গুণীর ভাবা
চলবেনা আর খেলার দাবা
গুণীর নাই যে মন
তাই জ্ঞানী আজ করে চলেন নীরব আয়োজন।
এদিকে হায় গুণীর দেহে স্বেদের চিহ্ন দেখে
জ্ঞানী যেন চমকে উঠেন সেই আলামত চেখে।
ঘামছে গুণী চরম বেগে
জ্ঞানীর চোখে উঠলো জেগে;
আজ কি মহামারি
লক্ষ্য করে দেখেন তিনি গুণীর চোখে বারি;
জ্ঞানী বলেন গুণীকে তাই
চলে যেতে বিশ্রামে আজ আসরে মন নাই
কে শোনে কার কথা
গুণী বলেন হয়নি কিছুই নারি ব্যাকুলতা।
জ্ঞানী বোঝেন গুণীর জেদে
তার হৃদয় যে উঠলো কেঁদে
বোঝেন সময় নাই
তখন আসর মাঝে গুণীর গানটি গাওয়া চাই।
চলছিল সেই গান
গুণীর হাতের লেখা ছিলো সেই গানেরি তান;
মরণ নিয়ে লিখা গানে
গুণী তাকান ওই আসমানে;
নিজের গানের শোনা
হলো যে তার বোনা
ভাবেন আজি সফল তিনি
তার কাছে সব মানুষ ঋণী;
চোখ বুজে তাই সময় জপেন আজ
দেখতে চেয়ে ধাতার কারুকাজ।
ঝরে গেলো তারা
জ্ঞানী হলেন দিশাহারা;
ঘুমিয়ে আছেন গুণী
আসর মাঝে চলছে সে গান বয়ে চলা ধুনী।
জ্ঞানী কাঁদেন নিজে
দু'চোখ উঠে ভিজে
ভাবেন জ্ঞানী গুণীর মত কবি
এই জগতে আসবে কিবা ভাবছে জ্ঞানী লভি।
অনিবার্য মরণ এলো
করলো সকল এলোমেলো;
জ্ঞানী কাঁদেন তাই
জানেন তিনি মরণ এলে কারো রেহাই নাই।
আঁধার বুকে নেমে গিয়ে
হয়তো ত্রিদিব পীযূষ পিয়ে;
গুণী গেলেন চলে
শেষ গানেরি মাতন আজি সবার হৃদয় দ'লে।